সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
সোমবার রাতের এই হাড় হিম করা ঘটনার কথা বলতে গিয়ে ভয়ে মাঝে মধ্যেই কেঁপে উঠছেন পরিবারের কর্তা বুধুয়া ওঁরাওয়ের স্ত্রী অনিতা ওঁরাও। তিনি বলেন,ঘর ছেড়ে যে পালাব তার উপায় ছিল না। দরজার দিকের দেওয়াল ভেঙে মূর্তিমান যমদূতের মতো হাতিটি দাঁড়িয়ে ছিল। হাতির পিঠ ঘরের চাল ছুঁয়ে গিয়েছিল। কী আর করব, উপায় না দেখে চারজন বাচ্চাকে নিয়ে চৌকির নীচে লুকিয়ে পড়ি। বড় মেয়ে সাঞ্জানা আর ওর বাবা আলমারির পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। বাচ্চাদের মুখ চেপে রাখি। হাতি শুঁড় দিয়ে সাঞ্জানার চুল এলোমেলো করে দেয়। প্রায় ঘণ্টা খানেক এরকম থাকার পর হাতি পিছন ফিরে বেরিয়ে যায়। তখন মনে হয় দেহে প্রাণ ফিরে এল।
আলালচাঁদ বনাঞ্চলের কাছেই বেতগুড়ি চাবাগানের বারশ লাইন শ্রমিক বস্তি। মাঝখানে বয়ে গেছে চেল নদী। নদীর এপাড়ে শ্রমিকবস্তি ওপারে বনাঞ্চল। মাঝেমধ্যেই হাতির উপদ্রব হয়। এই লাইন শ্রমিক বস্তিতে থাকেন ছয় সন্তান নিয়ে চা শ্রমিক বুধুয়া ওঁরাও। সোমবার রাতে এক বিশাল হাতি তাঁর বাড়িতে হানা দেয়। ঘরের দেওয়াল ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ে চাল আটা, আনাজপাতি সাবার করে।