সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
২০১৩ সালে আলিপুরদুয়ার পুরসভার ভোটে ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে সিপিএম ১০টি, আরএসপি আটটি এবং সিপিআই ও ফরওয়ার্ড ব্লক একটি করে ওয়ার্ডে প্রার্থী দেয়। কংগ্রেস আলাদা করে ২০টি ওয়ার্ডেই প্রার্থী দেয়। তারমধ্যে সিপিএম চারটি, আরএসপি তিনটি, সিপিআই একটি ও কংগ্রেস ছ’টি ওয়ার্ডে জেতে। পরবর্তীতে আরএসপি ও সিপিএমের দু’জন এবং কংগ্রেসের ছ’জন কাউন্সিলারই দল ছেড়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসে চলে যান। আরএসপি, সিপিএম ও কংগ্রেসের দলছুট কাউন্সিলারদের নিয়ে পুরবোর্ডের দখল নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। তিন দলের দলছুট কাউন্সিলররা প্রত্যেককেই হেভিওয়েট কাউন্সিলার। ফলে তাঁদের দলত্যাগে সিপিএম, কংগ্রেস বা আরএসপি’র ঘর ফাঁকা হয়ে গিয়েছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যাখ্যা, এই অবস্থায় তিন দলকেই আসন্ন পুরভোটে নতুন মুখ খুঁজতে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে। কারণ ওই কাউন্সিলারদের সঙ্গে তাঁদের নিজের নিজের ওয়ার্ডের ভোটাররারও শাসক দল তৃণমূলে চলে গিয়েছেন। ফলে সেসব ওয়ার্ডে তিন দলের মধ্যেই চরম শূন্যতা তৈরি হয়েছে।
যদিও জেলা কংগ্রেস সভাপতি গজেন বর্মন বলেন, আমাদের দলের জয়ী কাউন্সিলররা দল ছেড়ে চলে গেলেও দলে কোনও শূন্যতা তৈরি হয়নি। এসব অপপ্রচার। পুরভোটের প্রার্থী হিসাবে আমরা নতুন মুখ খোঁজার কাজ শুরু করে দিয়েছি। নতুন মুখ পেতে অসুবিধা হবে না। পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের অনিন্দ্য ভৌমিক বলেন, কয়েকজন কাউন্সিলারের দলত্যাগে দলের কোনও ক্ষতি হয়নি। পুরভোটে দাঁড়াতে প্রচুর নতুন মুখ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। দলই ঠিক করবে কাকে পুরভোটের টিকিট দেওয়া হবে। আরএসপি’র জেলা সম্পাদক সুনীল বণিক বলেন, পুরভোটে কে ক’টা ওয়ার্ডে লড়বে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনার পরেই তা ঠিক হবে। আমাদের দলের মধ্যে প্রচুর কর্মী আছে। ফলে পুরভোটের প্রার্থী হিসাবে নতুন মুখ পেতে আমাদের অসুবিধা হবে না।
ফ্রন্ট শরিক সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সুভাষ কর চৌধুরী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে পুরভোটের প্রার্থী হিসাবে বামেদের বা কংগ্রেসের নতুন মুখ পেতে অসুবিধা হবেই। এই অবস্থায় আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বাম ও কংগ্রেসের সর্বসন্মত প্রার্থী হলে ভালো হয়।
প্রসঙ্গত, ধারাবাহিক রক্তক্ষরণের কারণে তৃণমূল ও বিজেপিকে ঠেকাতে এবং নিজেদের মধ্যে ভোট ভাগাভাগি রুখতে কংগ্রেস ও বামেরা এবার পুরভোটে জোট করে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও বাম বা কংগ্রেস দুই শিবির সেকথা স্বীকার করছে না। বাম বা কংগ্রেস দুই শিবির স্বীকার করুক আর না করুক দলের জয়ী কাউন্সিলাররা ঘর ফাঁকা করে তৃণমূলে চলে যাওয়ায় বাম ও কংগ্রেস দুই শিবিরকেই প্রার্থী হিসাবে নতুন মুখ পেতে বেগ পেতে হবেই। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।