Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

১২৫ বছরে স্বামী প্রণবানন্দজি মহারাজ 
অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়

স্বামী প্রণবানন্দজি অবিভক্ত ভারতবর্ষের পূর্ববঙ্গের ফরিদপুর জেলার মাদারিপুর মহকুমার অন্তর্গত বাজিতপুর গ্রামে ১৩০২ বঙ্গাব্দের ১৬ মাঘ (১৮৯৬ সালের ২৯ জানুয়ারি) পূর্ণিমা তিথিতে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম বিষ্ণুচরণ দাস (ভুঁইয়া) ও মাতা সারদা দেবী। পরিবারের কুলদেবতা ছিলেন নীলরুদ্র শিব। মধ্যযুগে বাংলার বারো ভুঁইয়ার অন্যতম যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্যের সঙ্গে এই পরিবারের আত্মীয়তা ছিল বলে কেউ কেউ মনে করেন। সেজন্য তাঁদের পদবির সঙ্গে সম্মানসূচক ‘ভুঁইয়া’ যুক্ত হয়। ভুঁইয়া অর্থে ভূমধ্যকারী বা জমিদার বোঝায়। বিষ্ণুচরণ তাঁর তৃতীয় পুত্রকে আদর করে ডাকতেন জয়নাথ। বুধবারে জন্ম বলে বাড়ির কেউ কেউ তাঁকে বুধো বলে ডাকত। অন্নপ্রাশনের সময় তাঁর নাম রাখা হয় বিনোদ।
শৈশবকাল থেকেই অত্যন্ত শান্ত, ধীর-স্থির ছিল বিনোদ। পড়ত বাজিতপুর স্কুলে। প্রায়শই নিজের চিন্তায় ডুবে থাকত। প্রত্যহ কয়েক ঘণ্টা ধ্যান করত। এইভাবে বালক বিনোদ ধীরে ধীরে ব্রহ্মচারী বিনোদে পরিণত হল। আহারে বিশেষ রুচি ছিল না। নুন ভাত, জল ভাত, আলু সেদ্ধ ভাত, ভাত ছিল তাঁর খাদ্য। অথচ এই খেয়েই প্রত্যহ মুগুর ভাঁজতেন, অজস্রবার ডন বৈঠক দিতেন। শরীরে ছিল হস্তীর বল। ১৯১৭-এ মাঘী পূর্ণিমার দিনই বাজিতপুরে সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯২৩-এ মাঘী পূর্ণিমার দিন সঙ্ঘের নামকরণ করা হয়- ‘ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ’।
বিপ্লবীদের সঙ্গে সম্পর্ক: পূর্ববঙ্গের বিপ্লবীদের সঙ্গে ব্রহ্মচারী বিনোদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। বিশেষত ফরিদপুর জেলার বিখ্যাত বিপ্লবী সন্তোষ দত্ত ও পূর্ণচন্দ্র দাসের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল। নিশিকান্ত দত্ত আচার্যের ঘনিষ্ঠ সহকারী ছিলেন। তিনি লিখছেন— একদিন রাত্রি প্রায় ২টা বাজে। ধরণী গভীর সুপ্তিমগ্না, প্রকৃতি নীরব, নিথর। আশ্রমের কুটিরে আমি ও ব্রহ্মচারীজি শায়িত আছি। হঠাৎ কে যেন দরজায় মৃদু করাঘাত করে অনুচ্চ স্বরে ডাকল—‘‘বিনোদ দা আছেন নাকি?’’ এত গভীর রাতে সেই ডাক শুনে ব্রহ্মচারীজি উঠে বসে বললেন—‘‘দরজা খুলুন।’’ আমি দরজা খুলে দেখি ৩-৪ জন যুবক সেই অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছে। আলো জ্বালতে গেলে তিনি নিষেধ করলেন। আগন্তুক যুবকদের তিনি ভিতরে ডাকলেন। তারা একজন তাঁর কানে কানে কী বলল ও তারপর বাইরে জঙ্গলের ভিতরে চলে গেল। তিনি আমাকে বললেন—‘‘শীঘ্র সাতজনের মতো ভাত-ডাল রান্না করতে হবে। এরা আজ সারাদিন কিছু খায়নি।’’ আসলে ব্রিটিশ পুলিসের তাড়া খেয়ে এই যুবকদল সারাদিন ধরে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। ফলে, সারাদিন কিছু খেতেও পারেনি। অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে এই বিপ্লবী দলকে তিনি খাওয়ান। তারপর তাঁরা বিদায় নেয়। এরকম ঘটনা আরও দু-তিনবার ঘটেছিল।
জনসেবায় হাতেখড়ি: ১৯২১-এ খুলনা জেলার সাতক্ষীরা মহকুমায় ভয়ংকর দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। সংবাদ পেয়েই প্রণবানন্দজি তাঁর অনুগত ছাত্র ও তরুণদের নিয়ে সেই অঞ্চলে ছুটে গিয়ে সেবাকার্য আরম্ভ করেন। কিন্তু এই বিরাট সেবাকার্যে বহুলোক ও বহু অর্থের প্রয়োজন। খুলনা জেলার অন্যতম সুসন্তান ভারত বিখ্যাত বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় মহাশয় ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অর্থ সংগ্রহ করে আচার্য দেবের পিছনে দাঁড়ালেন। প্রণবানন্দও বিভিন্ন স্কুলে-কলেজে ঘুরে ঘুরে প্রায় ৫০০ জন তরুণ কর্মী সংগ্রহ করলেন। তাদেরকে দিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রায় আটমাস যাবৎ অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে সেবাকার্য পরিচালনা করলেন। এই ঘটনার পর প্রণবানন্দজির সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।
শক্তি সাধনার প্রবর্তন: আচার্য দেবের ইচ্ছা ছিল যে তিনি জাতীয় জীবনে শক্তিসাধনার প্রবর্তন করবেন। ১৯২৮-এ তীর্থশ্রেষ্ঠ কাশীধামে তিনি দুর্গাপূজা শুরু করেন। শক্তিপূজা প্রসঙ্গে প্রণবানন্দ বলেন, ‘‘হিন্দু তুমি কি জান না যে তুমি শক্তির পূজক, মহাশক্তির উপাসক? তোমার সেই শক্তির সাধনা কোথায়? একবার ধীর, স্থির হয়ে চিন্তা কর—তোমার উপাস্য দেবদেবীর সেই মহাবীরত্ব-ব্যঞ্জক লীলাভিনয়। শিবের হাতে ত্রিশূল, তাহা দেখে তুমি কি চিন্তা করবে? শ্রীকৃষ্ণের হাতে সুদর্শন, শ্রীরামচন্দ্রের হাতে ধনুর্বাণ, মা কালীর হাতে রক্তাক্ত খড়্গ—তাহা দেখে তুমি কী ভাবনা ভাববে? দশ হস্তে দশপ্রহরণধারিণী মা দুর্গার দিকে তাকিয়ে তোমার ভিতরে কী চিন্তা আসবে? এই মহাশক্তির সাধনা করে কি মানুষ দুর্বল হয়, না সবল হয়? সাধক, একবার বিশেষভাবে এই সমস্ত কথা চিন্তা কর। তারপর তুমি ভেবে ও বুঝে দেখ যে, তোমার শক্তির পূজা ও সাধনা ঠিক ঠিক হচ্ছে কি না। যদি না-হয়ে থাকে, তবে ঠিক কর যে— এখন থেকে কীভাবে তোমার আরাধ্য দেবতার পূজা উপাসনা করবে?’’
হিন্দু মিলনমন্দির ও হিন্দুরক্ষীদল গঠন: হিন্দু সমাজ সমন্বয় আন্দোলন তথা হিন্দু মিলন মন্দির ও রক্ষীদল গঠন আন্দোলন প্রবর্তন মহারাজ প্রণবানন্দজির অন্যতম শ্রেষ্ঠ অবদান। ১৯৩৪ সালের শেষ থেকে তিনি এই আন্দোলন আরম্ভ করেন এবং তখন থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি এর জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। তিনি নিজেই বলেছিলেন—‘‘সর্বশেষে সর্বনিয়ন্তার বিশেষ ইচ্ছায় হিন্দু সংগঠন ও হিন্দু মিলন মন্দির আন্দোলনের আরম্ভ- অধ্যাত্ম সাধনার মহাব্রত। ভারতের তথা সমগ্র বিশ্বের মঙ্গল ইহাতেই নিহিত রয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন—‘‘হিন্দুতে হিন্দুতে মিলন শীঘ্র গড়ে উঠবে, হিন্দু-মুসলমান—খ্রিস্টানে মিলন তত তীব্র সম্ভব হয়। কারণ মিলন হয়—সমানে-সমানে, সবলে-সবলে; সবলে ও দুর্বলে কখনো মিলন হয় না। সুতরাং বিশাল হিন্দু জনগণ যখন সমস্ত ভেদ-বিবাদ-বিরোধ ও অস্পৃশ্যতা ভুলে সম্মিলিত ও সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী হবে, তখনই অন্যান্য জাতির সঙ্গে তার মিলন সহজ ও সম্ভব হবে।’’ হিন্দুদের গলদ সম্পর্কে তিনি বলছেন—‘‘হিন্দুর বিদ্যা আছে, বুদ্ধি আছে, অর্থ আছে, ব্যক্তিগত শক্তি-সামর্থ্যও যথেষ্ট আছে। কিন্তু নাই কেবল তাদের মধ্যে একতা, সঙ্ঘবদ্ধতা বা সংহতি শক্তি। তাদের মধ্যে এই সঙ্ঘশক্তি জাগিয়ে দিতে পারলেই হিন্দুজাতি জগতে অজেয় হয়ে দাঁড়াবে।’’ এই দোষ-ত্রুটি-দুর্বলতা দূর করার জন্যই তিনি ‘হিন্দুমিলন মন্দির’ আন্দোলন আরম্ভ করেন।
তা ছাড়া গ্রামের সমস্ত যুবকদের নিয়ে প্রত্যেক মিলনমন্দিরে একটি করে ‘হিন্দুরক্ষীদল’ গঠন করা হবে। এই রক্ষীদল সম্পর্কে আচার্য প্রণবানন্দ বলেন—‘‘সমগ্র হিন্দু-সমাজকে ধর্ম-মান-ইজ্জত, স্বার্থ ও অধিকার রক্ষার্থে সজাগ ও সতর্ক করে তুলবার জন্যই আমার এই রক্ষীদল গঠন আন্দোলন। অন্যায়-অত্যাচারের প্রতিবাদ ও প্রতিকারের জন্য স্থিরসঙ্কল্প যে, দেহে একবিন্দু রক্ত থাকতেও হিন্দুর ধর্ম, মান, ইজ্জত, স্বার্থ ও অধিকারে কাকেও হস্তক্ষেপ করতে দিব না—এরূপ সুদৃঢ় প্রতিজ্ঞা যার সেই হবে প্রকৃত রক্ষী।’’
শ্যামাপ্রসাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ: শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রণবানন্দজির সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে ভারত সেবাশ্রমের সন্ন্যাসী স্বামী অরুণানন্দ তাঁর ‘শ্রীশ্রীপ্রণবানন্দচরিতামৃত’ গ্রন্থে (পৃষ্ঠা-১০০) লিখেছেন, ‘‘১৯৪০ খ্রীষ্টাব্দের অগাস্ট মাসে জন্মাষ্টমীর শুভ তিথিতে কলিকাতার বালিগঞ্জে এক বিরাট হিন্দুধর্ম সম্মেলনে প্রখ্যাত দেশনেতা বাঙ্গালীর গৌরব ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে সভাপতি নির্বাচন করা হয়। সম্মেলনের পূর্বে ভগবান আচার্যদেব পর পর পাঁচদিন শ্যামাপ্রসাদ মহাশয়কে তাঁর নিকটে আনবার জন্য সন্ন্যাসীদের প্রেরণ করেন। কিন্তু অত্যধিক কাজের চাপে তিনি তখন আসতে পারেন নাই। শেষে জন্মাষ্টমীর সম্মেলনের দিন বৈকাল ৫টায় শ্রীমৎ আচার্যদেব মণ্ডপের সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই শ্রীযুত শ্যামাপ্রসাদ মহাশয় এসে পৌঁছিলে শ্রীমৎ আচার্যদেব তাঁকে নিয়ে সভামণ্ডপে উঠলেন। মঞ্চের উপর উঠে শ্রীশ্রী আচার্যদেব সহস্র সহস্র উৎসুক দর্শকের সামনে স্বীয় কণ্ঠের আশীর্বাদী ফুলমালা স্বহস্তে শ্রীযুত শ্যামাপ্রসাদ মহাশয়ের গলায় পরিয়ে দিয়ে আশীর্বাদদান ও শক্তিসঞ্চারপূর্বক স্বীয় আসন গ্রহণ করেন। এতে প্রবীণ সঙ্ঘ-সন্ন্যাসীগণ এবং দর্শক জনসাধারণ বিস্ময়ে একেবারে হতবাক হয়ে যান। কারণ ইতিপূর্বে শ্রীশ্রী আচার্যদেব কখনও কাহারও গলায় স্বহস্তে মালা পরিয়ে দেন নাই। সম্মেলনের শেষে বিশ্রাম মন্দিরের কক্ষে প্রবেশ করে তিনি পূজ্য শ্রীমৎ স্বামী বেদানন্দজিকে শান্ত গম্ভীর কণ্ঠে বললেন—‘‘আজ বাঙ্গালী হিন্দুর স্বপক্ষে দাঁড়াবার লোক ঠিক করে দিয়ে এলাম’’।
এর কিছু মাস পরেই ১৯৪১ সালের ৮ জানুয়ারি আচার্য প্রণবানন্দজি কলকাতার বালিগঞ্জ আশ্রমে দেহত্যাগ করেন।
 লেখক কলকাতায় মৌলানা আজাদ কলেজে ইতিহাসের অধ্যাপক (মতামত ব্যক্তিগত)  
আম আদমির বাজেট প্রত্যাশা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কর্পোরেট কর ২৫ শতাংশ, আর ব্যক্তিগত আয়কর ৩০ শতাংশ... এটা তো হতে পারে না! কাজেই আসন্ন বাজেটে ব্যক্তিগত আয়করের দিক থেকে সাধারণ চাকরিজীবীরা লাভবান হতে পারেন। তাও বিষয়টা সম্ভাবনা আকারেই আছে। তার কারণ, লোকসভা নির্বাচন সদ্য শেষ হয়েছে। আগামী চার বছর তো মোদি সরকার নিশ্চিন্ত! এখনই আয়করে বড় ছাড়ের মতো ঘোষণা করে দিলে ভোটের আগে কী হবে?এই প্রশ্ন আপাতত শনিবার পর্যন্ত সিন্দুকে তোলা থাক।
বিশদ

28th  January, 2020
সবচেয়ে ভালোর জন্য আশা করে সবচেয়ে খারাপের জন্য প্রস্তুতি
পি চিদম্বরম

আর একটি বছর শুরু হল, আর একটি বাজেট পেশের অপেক্ষা, এবং এটি ভারতীয় অর্থনীতির আর একটি গুরুতর বছর। ২০১৬-১৭ সাল থেকে প্রতিটি বছর আমাদের জন্য অনেক বিস্ময় এবং ব্যথা নিয়ে এসেছে। ২০১৬-১৭ গিয়েছে সর্বনাশা নোটবন্দির বছর। ত্রুটিপূর্ণ জিএসটি এবং সেটা তড়িঘড়ি রূপায়ণের বছর গিয়েছে ২০১৭-১৮।  বিশদ

26th  January, 2020
সংবিধান ও গণতন্ত্রের ভিত দুর্বল হলে ভারতের আত্মাও বিপন্ন হতে বাধ্য
হিমাংশু সিংহ

১৫ আগস্ট যদি দেশের জন্মদিন হয়, তাহলে ২৬ জানুয়ারি হচ্ছে কোন মতাদর্শ ও আইন মেনে কীসের ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হবে, তার লিখিত বয়ান চূড়ান্ত করার বর্ণাঢ্য উদযাপনের শুভ মুহূর্ত। নবজাতক শিশু স্কুলে ভর্তি হলে একটা নির্দিষ্ট নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে ধীরে ধীরে পরিণত হয়। 
বিশদ

26th  January, 2020
১৬০০ কোটি টাকায় কী হতে পারে?
মৃণালকান্তি দাস

শুধুমাত্র অসমে এনআরসি প্রক্রিয়া করতে গিয়েই সরকার খরচ করে ফেলেছে ১৬০০ কোটি টাকা! এত টাকা কীভাবে খরচ হল সেটা খতিয়ে দেখতে দাবি উঠেছে সিবিআই তদন্তের। শুধু তাই-ই নয়, এই এনআরসি করতে বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে, এই অভিযোগ তুলেছেন অসমের বিজেপি নেতা তথা অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সেই দুর্নীতির কথা ধরা পড়েছে ক্যাগের প্রতিবেদনেও। এনআরসির মুখ্য সমন্বয়কারী প্রতীক হাজেলাকে মধ্যপ্রদেশে বদলি করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মুখ লুকোনোর জায়গা পাচ্ছে না বিজেপি।
বিশদ

25th  January, 2020
মুখ হয়ে ওঠার নিরন্তর প্রয়াস
তন্ময় মল্লিক

কথায় আছে, মুখ হচ্ছে মনের আয়না। আবার কেউ কেউ মনে করেন, সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র। তাই অনেকেরই ধারণা, সাফল্য লাভের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানই হল মুখ। রাজনীতিতেও সেই মুখের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে রাজনীতিতে সৌন্দর্য অপেক্ষা অধিকতর প্রাধান্য পেয়ে থাকে মুখের কথা, ভাষাও।  
বিশদ

25th  January, 2020
নিরপেক্ষ রাজনৈতিক চেতনার অভাব
সমৃদ্ধ দত্ত

 আজকাল একটি বিশেষ শ্রেণীর কাছে দুটি শব্দ খুব অপছন্দের। সেকুলার এবং ইন্টেলেকচুয়াল। ওই লোকটিকে আমার পছন্দ নয়, কারণ লোকটি সেকুলার। ওই মানুষটি আসলে সুবিধাবাদী এবং খারাপ, কারণ তিনি ইন্টেলেকচুয়াল। সমাজের এই অংশের উচ্চকিত তর্জন গর্জন হাসি ঠাট্টা কটাক্ষ শুনলে মনে হবে, সেকুলার হওয়া বোধহয় সাংঘাতিক অপরাধ। বিশদ

24th  January, 2020
বাজেটের কোনও অঙ্কই মিলছে না, আসন্ন বাজেটে বৃদ্ধিতে গতি ফিরবে কীভাবে?
দেবনারায়ণ সরকার

বস্তুত, বর্তমান অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতির চিত্র যথেষ্ট বিবর্ণ। সমৃদ্ধির হার ক্রমশ কমে ৫ শতাংশে নামার ইঙ্গিত, যা ১১ বছরে সর্বনিম্ন। মুদ্রাস্ফীতি গত ৩ বছরে সর্বাধিক। শিল্পে সমৃদ্ধির হার ৮ বছরে সর্বনিম্ন। পরিকাঠামো শিল্পে বৃদ্ধির হার ১৪ বছরে সর্বনিম্ন। বিদ্যুতের চাহিদা ১২ বছরে সর্বনিম্ন। বেসরকারি লগ্নি ১৬ বছরে সর্বনিম্ন। চাহিদা কমায় বাজারে ব্যাঙ্ক লগ্নি কমেছে, যা গত ৫৮ বছরে সর্বনিম্ন। রপ্তানিও যথেষ্ট ধাক্কা খাওয়ার ইঙ্গিত বর্তমান বছরে। এর উপর ভারতে বেকারত্বের হার গত ৪৫ বছরে সর্বনিম্ন।
বিশদ

24th  January, 2020
ক্ষমা করো সুভাষ
জয়ন্ত চৌধুরী

মুক্তিপথের অগ্রদূত তিনি। অখণ্ড ভারত সাধনার নিভৃত পথিক সুভাষচন্দ্রের বৈপ্লবিক অভিঘাত বাধ্য করেছিল দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের পটভূমি রচনা করতে। দেশি বিদেশি নিরপেক্ষ ঐতিহাসিকদের লেখনীতে আজাদ হিন্দের অসামান্য আত্মত্যাগ স্বীকৃত হয়েছে। সর্বাধিনায়কের হঠাৎ হারিয়ে যাবার বেদনা তাঁর জন্মদিনেই বড় বেশি স্পর্শ করে যায়।  
বিশদ

23rd  January, 2020
স্বামীজি, বিশ্বকবি ও নেতাজির খিচুড়ি-বিলাস
বিকাশ মুখোপাধ্যায়

মঙ্গলকাব্য থেকে কাহিনীটা এভাবে শুরু করা যেতে পারে।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই মা দুর্গা নন্দিকে তলব করেছেন, যাও ডাব পেড়ে নিয়ে এসো।
নন্দির তখনও গতরাতের গাঁজার খোঁয়ার ভাঙেনি। কোনওরকমে জড়ানো স্বরে বলল, ‘এত্তো সকালে মা?’  বিশদ

23rd  January, 2020
‘যে আপনকে পর করে...’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মহাত্মা গান্ধী একটা কথা বলতেন, মনপ্রাণ দিয়ে দেশের সেবা যিনি করেন, তিনিই সত্যিকারের নাগরিক। নাগরিক কাহারে কয়? বা নাগরিক কয় প্রকার ও কী কী? এই জাতীয় প্রশ্ন এখন দেশে সবচেয়ে বেশি চর্চিত। সবাই নিজেকে প্রমাণে ব্যস্ত। ভালো নাগরিক হওয়ার চেষ্টাচরিত্র নয়, নাগরিক হতে পারলেই হল। তার জন্য কাগজ লাগবে। এক টুকরো কাগজ প্রমাণ করবে, আপনি আমি ভারতের বাসিন্দা।   বিশদ

21st  January, 2020
আইন ও বাস্তব
পি চিদম্বরম

আপনি যখন এই লেখা পড়ছেন তখন ইন্টারনেট, আন্দোলন, জনসমাবেশ, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, ভাষণ ও লেখালেখি এবং কাশ্মীর উপত্যকার পর্যটকদের উপর নিয়ন্ত্রণ জারি রয়েছে। কোনোরকম ‘চার্জ’ ছাড়াই রাজনৈতিক নেতাদের হেপাজতবাসও চলছে যথারীতি। সুতরাং প্রশ্ন উঠছে—আদালতের রায়ের পরেও বাস্তবে কিছু পরিবর্তন হয়েছে কি?
বিশদ

20th  January, 2020
নেতাজি—আঁধারপথে অনন্ত আলোর দীপ্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

স্বাধীনতার পর অতিক্রান্ত বাহাত্তর বছর। কিন্তু আজও যেন তার নাবালকত্ব ঘুচল না। আসলে দেশের যাঁরা হাল ধরেন, তাঁরাই যদি নাবালকের মতো আচরণ করেন, তাহলে দেশও নাবালকই থেকে যায়। এই নাবালকত্ব আসলে এক ধরনের অযোগ্যতা। সেই অযোগ্যতার পথ ধরেই দেশ ডুবে আছে অসংখ্য সঙ্কটে। দুর্নীতিই হল সেই সঙ্কটের মধ্যমণি।  
বিশদ

20th  January, 2020
একনজরে
পোচেস্ট্রুম, ২৮ জানুয়ারি: লড়াকু ব্যাটিং এবং দুরন্ত বোলিংয়ের অনবদ্য মেলবন্ধনে অস্ট্রেলিয়াকে ৭৪ রানে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ভারত। প্রথমে ব্যাট করে টিম ইন্ডিয়া নির্ধারিত ৫০ ...

সংবাদদাতা, রামপুরহাট: সিএএ, এনআরসি ও এনপিআরের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রামপুরহাট থেকে নলহাটি পর্যন্ত পদযাত্রা করল ফরওয়ার্ড ব্লক। নেতৃত্ব দেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়।  ...

জাহানাবাদ (বিহার), ২৮ জানুয়ারি (পিটিআই): ‘পাঁচ লাখ মানুষ এক হলে অসমকে ভারত থেকে আলাদা’ করার হুমকি দিয়েছিলেন সিএএ তথা শাহিনবাগ আন্দোলনের অন্যতম মাথা শারজিল ইমাম। মঙ্গলবার তাঁকেই বিহারের জেহানাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করল দিল্লি পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চ।  ...

নয়াদিল্লি, ২৮ জানুয়ারি: স্থানীয় এক দুষ্কৃতী গোষ্ঠীর সঙ্গে বিরোধের জেরে পাকিস্তানে খুন হল ভারতে ‘ওয়ান্টেড’ খলিস্তান লিবারেশন ফোর্সের (কেএলএফ) এক শীর্ষ নেতা। পাকিস্তানের পুলিস সূত্রে খবর, হত কেএলএফ জঙ্গির নাম হরমিত সিং ওরফে হ্যাপি পিএইচডি।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৬: ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রণবানন্দের জন্ম
১৯৬৬: ব্রাজিলের ফুটবলার রোমারিওর জন্ম
১৯৭০: ওলিম্পিকে রুপোজয়ী শ্যুটার রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোরের জন্ম
২০০৬: প্রথম ভারতীয় হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ওভারে হ্যাটট্রিক করলেন ইরফান পাঠান  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৫৮ টাকা ৭২.২৮ টাকা
পাউন্ড ৯১.৬১ টাকা ৯৪.৯০ টাকা
ইউরো ৭৭.২৫ টাকা ৮০.১৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,১৪০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,০৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯,৬১৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ মাঘ ১৪২৬, ২৯ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার, (মাঘ শুক্লপক্ষ) চতুর্থী ১১/৩ দিবা ১০/৪৬। পূর্বভাদ্রপদ ১৪/৪১ দিবা ১২/১৩। সূ উ ৬/২১/৩, অ ৫/১৮/১৭, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১০/০ গতে ১১/২৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৭ গতে ৪/৩৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/১১ গতে ৮/৪৮ মধ্যে পুনঃ ২/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫০ গতে ১/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৪ মধ্যে। 
১৪ মাঘ ১৪২৬, ২৯ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার, চতুর্থী ৫/৫৫/২৫ দিবা ৮/৪৬/৪। পূর্ব্বভাদ্রপদ ১০/৫৭/৫৮ দিবা ১০/৪৭/৫। সূ উ ৬/২৩/৫৪, অ ৫/১৭/১৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/০ গতে১১/২৯ মধ্যে ও ৩/১০ গতে ৪/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৫গতে ৮/৫০ মধ্যে ও ২/০ গতে ৬/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৯/৭/১৪ গতে ১০/২৮/৫৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৭/১৪ গতে ৪/৪৫/৩৪ মধ্যে। 
মোসলেম: ৩ জমাদিয়স সানি 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। বৃষ: সৃষ্টিশীল কর্মে আনন্দ অনুসন্ধান। মিথুন: কে বন্ধু, কে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে  
১৮৯৬: ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রণবানন্দের জন্ম১৯৬৬: ব্রাজিলের ফুটবলার ...বিশদ

07:03:20 PM

তৃতীয় টি ২০: সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডকে হারাল ভারত 

04:26:47 PM

২৩২ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স 

04:20:36 PM

তৃতীয় টি ২০: সুপার ওভারে ভারতকে ১৮ রানের টার্গেট দিল নিউজিল্যান্ড

04:16:55 PM

তৃতীয় টি ২০: ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ টাই, এবার সুপার ওভার

04:04:00 PM