আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, ল্যাপটপ, টিভি-বৈদ্যুতিন সামগ্রীতে যে চিপ থাকে, তাতে সেমি কন্ডাক্টর ব্যবহার করা হয়। মূলত পরিবাহী হিসেবেই কাজ করে এটি। উন্নত প্রযুক্তির টেলিযোগাযোগ, বিদ্যুত্ সরবরাহ, জাতীয় সুরক্ষার মতো বিষয়ের সঙ্গেও সেমি কন্ডাক্টরের ব্যবহার জড়িয়ে রয়েছে। তবে জাপান, তাইওয়ান, আমেরিকার মতো হাতেগোনা কয়েকটি দেশেই তা তৈরি হয়। কলকাতায় প্লান্ট তৈরি হলে বিদেশ থেকে সেমি কন্ডাক্টর রপ্তানি কমবে। এই বিষয়ে ভারতের সেমি কন্ডাক্টর মিশন ও আমেরিকার বিদেশ দপ্তর হাত মেলাতে চলেছে।
মোদি-বাইডেনের বৈঠকের পর হোয়াইট হাউসের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা, নয়া প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ এবং ‘গ্রিন এনার্জি’র মতো বিষয় নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথা হয়েছে। কলকাতায় প্লান্ট তৈরি হলে চিপ উত্পাদনের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও গবেষণার পরিধি বাড়বে। একইসঙ্গে এই প্রকল্পের ফলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ডেটা সেন্টারের মতো বিষয়ের গুরুত্বও বৃদ্ধি পাবে। ওই বিবৃতিতে বলা বয়েছে, গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ কলকাতার প্লান্ট নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করেছে। এই প্রকল্পের হাত ধরে বাংলায় কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও বাড়বে বলেও আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে, প্রতিরক্ষা বিষয়েও ভারত ও আমেরিকার মধ্যে একাধিক বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। আকাশ ও জলপথে নজরদারি বৃদ্ধিতে মোট ৩১টি জেনারেল অ্যাটোমিকস এমকিউ-৯বি ড্রোন (১৬টি স্কাই গার্ডিয়ান ও ১৫টি সি গার্ডিয়ান) কিনছে ভারত। যার জন্য খরচ হবে প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। নিঃশব্দে ২৫০ মিটার থেকে ৫০ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে সক্ষম এই ড্রোনগুলি থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও চালানো যাবে।