আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
শনিবার ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হয় গণনা। রবিবার দেখা গিয়েছে, কোনও প্রার্থীই প্রথম পছন্দের ৫০ শতাংশ ভোট পাননি। সর্বাধিক ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন বামপন্থী প্রার্থী আনুরা কুমারা। এরপরই নির্বাচনী আইন মেনে শুরু হয় দ্বিতীয় রাউন্ডের গণনা। দ্বীপরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবার। প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে।
এদিন ভোটগণনার শুরুতেই সবাইকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে থাকেন বামপন্থী দল ন্যাশনাল পিপল’স পাওয়ারের (এনপিপি) প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী আনুরাকুমারা দিশানায়েক। প্রথম রাউন্ডের গণনা শেষে তিনি পেয়েছেন ৪২.৩১ শতাংশ ভোট। অথচ ২০২২ সালের নির্বাচনে তাঁর দল পেয়েছিল মাত্র তিন শতাংশ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এসজেবির সজিথ প্রেমাদাসা ঝুলিতে আসে ৩২.০৮ শতাংশ ভোট। অপরদিকে ১৭.২৭ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থান পান বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মাহিন্দা রাজাপাকসের ছেলে নমাল রাজাপাকসে। তাঁর ঝুলিতে এসেছে মাত্র আড়াই শতাংশ ভোট।
শ্রীলঙ্কার নির্বাচনী আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রেসিডেন্ট হতে গেলে প্রার্থীকে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতেই হবে। কোনও প্রার্থী যদি তা না পান তাহলে দ্বিতীয় রাউন্ডের গণনা হবে। এবারের নির্বাচনে তাই ঘটেছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম পছন্দের প্রার্থী ছাড়াও দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রার্থীকে ভোট দিতে হয়।
১৯৮৭ সালে জেভিপি-তে যোগ দেন দিশানয়েক। প্রথম থেকেই রাজীব গান্ধী ও জয়বর্ধনের ভারত-শ্রীলঙ্কা চুক্তির বিরোধিতায় সরব ছিল তাঁর দল জেভিপি। সম্প্রতি ভারত সফরে এসেছিলেন দিশানায়েক। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, ভারত সম্পর্কে তাঁর দল এনপিপি বা পূর্বতন জেভিপির দৃষ্টিভঙ্গিতে বদল এসেছে।
এক্ষেত্রে ভোটারদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পছন্দের প্রার্থী কে তা জানতে গণনা শুরু হয়েছে। অনুরাকুমারা দেশনায়েক ও সাজিথ প্রেমাদাসা কত ভোট পেয়েছেন তা দেখা হচ্ছে। রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘে এবং নমাল রাজাপাকসে প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছেন।
গত কয়েক বছরে দ্বীপরাষ্ট্রে আর্থিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে। সেই আবহে প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রবল উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেন দেশের ১ কোটি ৭০ লক্ষ ভোটার।