উইলমিংটন (আমেরিকা) ও নয়াদিল্লি: ভারতকে ২৯৭টি অমূল্য পূরাকীর্তি ফেরত্ দিচ্ছে আমেরিকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর জন্য বাইডেনকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন মোদি। কোয়াড লিডার্স সামিটে যোগ দিতে আমেরিকা সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তার অবকাশে বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকের পর মোদি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘ভারতের ২৯৭টি অমূল্য পুরাকীর্তি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি বাইডেন ও মার্কিন সরকারের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।’ তিনি জানান, এই পূরাকীর্তিগুলি শুধু ভারতের ইতিহাসের নির্দশন নয়, এগুলি ভারতীয় সভ্যতা ও চেতনার মূল ভিত্তি। সাংস্কৃতিক সম্পত্তির পাচার রুখতে ও বিভিন্ন পুরাকীর্তিগুলিকে প্রকৃত জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য গত জুলাইয়ে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে চুক্তি হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের (পিএমও) তরফে জানানো হয়েছে, এই পুরাকীর্তিগুলি বিভিন্ন সময়ে ভারত থেকে চুরি বা পাচার হয়ে বিদেশে চলে যায়। এগুলির মধ্যে রয়েছে প্রায় ৪ হাজার বছরের পুরনো তামার মূর্তি থেকে শুরু করে গত শতাব্দীতে তৈরি বিভিন্ন মূর্তিও। প্রতীকী হস্তান্তর হিসেবে এদিন কয়েকটি নিদর্শন মোদি ও বাইডেনের বৈঠকের স্থানে আনা হয়েছিল। এই মূর্তিগুলির বেশিরভাগই পূর্ব ভারতে টেরোকোটার তৈরি। এছাড়া পাথর, ধাতু, কাঠ ও হাতির দাঁতের তৈরি মূর্তিও রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দশম থেকে একাদশ শতাব্দীতে তৈরি বেলেপাথরের অপ্সরা মূর্তি, পঞ্চদশ ও ষষ্ঠদশ শতাব্দীতে তৈরি জৈন তীর্থঙ্করের ব্রোঞ্জের মূর্তি, তৃতীয় ও চতুর্থ শতাব্দীতে তৈরি টেরাকোটার পাত্র। উইলমিংটনে বৈঠকের পর মোদি রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে গিয়েছেন।
অন্যদিকে বোস্টন ও লস এঞ্জেলসে খুলতে চলেছে নয়া কনস্যুলেট। অনাবাসী ভারতীয়দের সুবিধার প্রশ্নে এদিন এমনই ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের ‘দেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’ বলেও উল্লেখ করেন মোদি।