আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
কুয়েতের মানগাফ শহরের ওই বহুতলে বুধবার স্থানীয় সময় ভোর ছ’টা নাগাদ (ভারতীয় সময় সকাল ন’টা) আগুন লাগে। প্রাথমিক তদন্তে খবর, প্রথমে ওই বহুতলের একটি রান্নাঘরে আগুন লাগে। দ্রুত সেই আগুন অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। ওই বাড়িটিতে পরিযায়ী শ্রমিকরাই থাকতেন। তাঁরা সকলেই একই সংস্থার কর্মী। কুয়েতে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে একটি হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে। যে কোনওরকম সাহায্যের জন্য এই নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এই অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনায় গভীর দুঃখপ্রকাশ করেছেন। ‘এক্স’ হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ‘কুয়েত শহরে অগ্নিকাণ্ডের কারণে মৃত্যুর খবরে গভীরভাবে মর্মাহত। এই ঘটনায় ৪০ জনের বেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। পাশাপাশি, হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৫০ জনের বেশি। আমাদের রাষ্ট্রদূত সংশ্লিষ্ট শিবিরে গিয়েছেন। আমরা আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি।’ সূত্রের খবর, ওই বহুতলটিতে থাকতেন ১৬০ জন নির্মাণ শ্রমিক। আবাসিকদের বয়স ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। বাসিন্দাদের মধ্যে অধিকাংশই ভারতীয়। কীভাবে রান্নাঘরে আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখার জন্যে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কুয়েত প্রশাসন। কুয়েতের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী শেখ ফাহাদ আল-ইউসুফ আল-সাবাহ ওই বহুতলের মালিককে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিসকে নির্দেশ দিয়েছেন। বহুতলটির দারোয়ানকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেছেন, ‘এদিন যা ঘটল, তা সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও বাড়ির মালিকের অত্যধিক লোভের ফল।’ তিনি স্থানীয় পুর কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরকে শহরের এধরনের বহুতলগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বলেছেন। কোন বহুতলে কতজন বাস করছেন, তাও দেখতে বলা হয়েছে।