আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
জল্পনায় শোনা যাচ্ছে, নীতীশ এবং চন্দ্রবাবুর এক ও একমাত্র অগ্রাধিকার রাজ্য। বিশেষ করে প্রথমজনের সামনে এখন বড়সড় অগ্নিপরীক্ষা। কারণ, আগামী বছরই বিহারে বিধানসভা ভোট। সূত্রের খবর, তাঁর নরেন্দ্র মোদিকে সমর্থন প্রদানের অন্যতম গোপন শর্ত হল, আগামী বছর তিনিই হবেন মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। আর সেই ভোটে জয়ী হতে প্রয়োজন বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ। না হলে কেন্দ্রে এনডিএ সরকারের অংশীদার হওয়ার বিনিময়ে বিহার কী পেল—এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করবে তেজস্বী যাদব ও কংগ্রেসের জোট। তারই সঙ্গে আবার আসছে নতুন দল, প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টি। সুতরাং বাজেটে যদি বিহার কিছু তাৎপর্যপূর্ণ উপহার না পায়, তাহলে বিরোধীদের প্রচারের কোনও জবাব দিতে পারবেন না নীতীশ কুমার। আর তাই আসন্ন বাজেটে প্রতীকী হলেও একটা প্যাকেজ দিতে হবে তাঁকে, এরকমই চাপ রয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর উপর।
আবার একইভাবে আর্থিক সাহায্য দিতে হবে চন্দ্রবাবু নাইডুকেও। অমরাবতীকে নতুন রাজধানী করার জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হতে পারে অন্ধ্রপ্রদেশকে। কিন্তু সেটা তো যে কোনও রাজ্যের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। পৃথক কোনও সুবিধা প্রদান নয়। অর্থমন্ত্রক সূত্রে খবর, সবথেকে বড় সঙ্কট হল বিহার আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া রাজ্য। আর অন্ধ্রপ্রদেশ আর্থিকভাবে উন্নত রাজ্য। এরকম বিপরীতমুখী দুই রাজ্যকে বাজেটে বিশেষ প্যাকেজ উপহার দেওয়ার নেপথ্যে কোনও অকাট্য যুক্তি দেখানো যাবে না। বর্তমানে উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিকে স্পেশাল স্ট্যাটাস দেওয়া রয়েছে। কিন্তু বিহার ও অন্ধ্রকে হঠাৎ সেই তকমা দেওয়া যাবে না। তাহলে ছত্তিশগড়, ওড়িশা, বাংলা, ঝাড়খণ্ড কী দোষ করল? এই প্রশ্ন উঠবে। এবং আইনি জটিলতাও আসবে। তাহলে কী উপায়? প্রশ্ন নিয়ে নীতি আয়োগের দ্বারস্থ হয়েছে অর্থমন্ত্রক। কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক পর্যালোচনা এবং নীতি নির্ধারণের নোডাল অফিস নীতি আয়োগ। বছরে একটি করে কেন্দ্র রাজ্য বৈঠকও করে তারা। কিন্তু নিছক রাজনৈতিক কারণে কোনও রাজ্যকে কোনও পৃথক প্যাকেজ দেওয়ার সুপারিশ তারাও করতে পারে না। বেশি করে প্রকল্প ঘোষণা করা যেতে পারে মাত্র। তাহলে নীতীশ ও চন্দ্রবাবুকে কীভাবে তুষ্ট করা সম্ভব? আপাতত সেটাই প্রধান চিন্তা মোদি সরকারের।