নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: এতদিনে জানা হয়ে গিয়েছে যে, হরিয়ানা, গুজরাত এবং বিহারই নিট দুর্নীতির ভরকেন্দ্র। ঘটনাচক্রে তিনটিই এনডিএ শাসিত রাজ্য। একঝাঁক গ্রেপ্তার হলেও এইসব অভিযুক্ত তথা চক্রের প্রশ্রয়দাতা তথা মাস্টারমাইন্ড কে? কাদের কাছে রয়েছে এই মহা শিক্ষা কেলেঙ্কারির চাবিকাঠি? জানা যাচ্ছে, বিহার পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে এক মন্ত্রীর নাম। বিহারের নীতীশকুমার মন্ত্রিসভার এক মন্ত্রীর নাম জেরায় প্রকাশিত হয়েছে। তবে কে তিনি? সেকথা পুলিশ প্রকাশিত করেনি। তাঁর অজান্তে তাঁর উপর নজরদারিও চালানো হচ্ছে। এই প্রথম সরাসরি সরকারের যোগসূত্রের দিকে তদন্তের জাল অগ্রসর হচ্ছে। অনুরাগ যাদব নামে এক তরুণকে বিহার পুলিশ নিট প্রশ্নপত্র সহ গ্রেপ্তার করেছে। যার কাছে নিটের প্রশ্নপত্র আগেই পৌঁছে গিয়েছিল। সেই অনুরাগই জেরায় ভেঙে পড়ে জানিয়েছে, তার কাছে ওই বিহারের মন্ত্রীর লেটারহেডে লেখা একটি চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। সেই চিঠি দেখালে প্রশ্নপত্র পাওয়া যাবে। এটাই ছিল শর্ত। সেই চিঠি দেখানোর পরই তাকে একটি গেস্টহাউসে দেওয়া হয়েছিল প্রশ্নপত্র। দেখা গিয়েছে হুবহু ওই প্রশ্নপত্রই এসেছে মূল পরীক্ষায়। ৪ মে অনুরাগকে রাখা হয়েছিল একটি গেস্ট হাউসে। দানাপুরের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের মারফৎ অনুরাগ পেয়েছে এই যোগসূত্র। সেই ইঞ্জিনিয়ার আর তার বাবা প্রশ্নফাঁস চক্রের সদস্য। এখনও পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বিহার পুলিশ।
গুজরাত পুলিশ গোধরা থেকে গ্রেপ্তার করেছে একটি ইনস্টিটিউটের প্রধানকে। ভদোদরা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে এনটিএর পরীক্ষা পরিদর্শককে। বিহার পুলিশ সন্ধান পেয়েছে যোধপুরের একটি চক্রের। সেখানে একাধিক ডামি পরীক্ষার্থী পালিয়েছে। কিন্তু একজন নিখোঁজ। আবার আর এক শ্রেণির ডামি পরীক্ষার্থী মূল পরীক্ষার্থীর জমা দেওয়া সাদা খাতায় সব সঠিক উত্তর লিখেছে। ১০ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার এই ডিলে সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে রাজ পান্ডের। পাটনার রাজ পান্ডের হয়ে পরীক্ষা দিয়েছে রাজস্থানের হুকুমরাম। ৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে হুকুমরামকে। বিহারের পাটনা, দানাপুর, মুজফফপুর থেকে এই চক্র ছড়িয়েছে যোধপুর পর্যন্ত। যোধপুর এইমসের যোগসাজশ পাওয়া যাচ্ছে। একদিকে যেমন ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির গেস্ট হাউসে থেকেছে পরীক্ষার্থীরা, আবার অন্যদিকে এইমসে পরীক্ষা কেন্দ্রের কর্মীদের সঙ্গে চক্রের আঁতাত পাওয়া গিয়েছে।