কর্মলাভের যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা দুযবে। ... বিশদ
বাস্তবে— বাড়িতে গেঞ্জি বা জামাকাপড় দিয়েও মাস্ক তৈরি করা যায় এবং তাতে মুখ ঢাকা যায়। আক্রান্ত মানুষের হাঁচি-কাশি নিঃসৃত কণা তাতেও আটকায়। শুধু তাই নয়, কারও হাঁচি-কাশি থাকলে, হোম মেড মাস্ক সুস্থ মানুষের সংক্রমণ আটকায়। ভালো করে ধুয়ে এই ধরনের মাস্ক ফের ব্যবহার করা সম্ভব।
২. ভুল ধারণা— করোনা ভাইরাস শুধুমাত্র মাঝারি বা জটিল পর্যায়ের আক্রান্তদের শরীরেই থাকে।
বাস্তবে— নানা ধরনের রোগীর শরীরে এই ভাইরাস থাকতে পারে। যেমন রোগ মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে, অথচ উপসর্গ নেই। রোগ মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে এবং উপসর্গ রয়েছে। মাঝারি পর্যায়ে নিউমোনিয়া রয়েছে কিন্তু অক্সিজেন লাগছে না। মাঝারি পর্যায়ের নিউমোনিয়া রয়েছে এবং অক্সিজেন লাগছে। মারাত্মক পর্যায়ের নিউমোনিয়ার সঙ্গে অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিসট্রেসড সিনড্রম (এআরডিএস) আছে, সেপটিসেমিয়া এবং সেপটিক শক হয়েছে। মারাত্মক ধরনের নিউমোনিয়া হয়েছে এবং রোগীকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে।
৩. ভুল ধারণা— স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তারদের করোনা হওয়ার আশঙ্কা কম।
বাস্তবে— অনেকটাই উল্টো। করোনা রোগী এবং উপসর্গ থাকা মানুষজনের চিকিৎসায় যুক্ত থাকায় তাঁদের সংক্রমণের আশঙ্কা যথেষ্ট। পৃথিবীর বহু দেশ, ভারত এবং আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গেও করোনা চিকিৎসায় যুক্ত ডাক্তার, নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মী সংক্রমিত হয়েছেন।
৪. ভুল ধারণা— করোনা ভাইরাসের ওজন আর পাঁচটি ভাইরাসের মতোই।
বাস্তবে— শ্বাসযন্ত্রকে আক্রান্ত করা অন্যান্য ভাইরাসের তুলনায় করোনা ভারী এবং তার ওজনও বেশি।
৫. ভুল ধারণা— শুধুমাত্র করোনা ভাইরাসের সঙ্গেই বাদুড়ের সম্পর্ক আছে।
বাস্তবে— শুধু করোনা নয়, ইবোলা, নিপা, মারবুর্গ, হেন্ড্রা এবং র্যাবিসের সঙ্গেও বাদুড়-যোগ রয়েছে।
৬. ভুল ধারণা— একই ব্লাড গ্রুপ থাকলে করোনার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বাস্তবে— এই ধরনের বক্তব্যের কোনও ভিত্তি নেই।
৭. ভুল ধারণা— পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা আর জীবাণুমুক্ত করা একই বিষয়।
বাস্তবে— না। ঘর-জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা, ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা মানে জীবাণুকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া। মেরে ফেলা নয়। অন্যদিকে জীবাণুমুক্ত করার অর্থ, নির্দিষ্ট ধরনের রাসায়নিক নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে প্রয়োগ করে রোগ-জীবাণু মেরে ফেলা।
(সূত্র: ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এবং কনফেডারেশন অব মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া অ্যান্ড ওশিয়ানিয়া)