শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
রাজনৈতিক দলগুলিকে নগদ টাকায় অনুদান দেওয়ার অঙ্ক কমিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কালো টাকার লেনদেন কমাতে নোটবন্দির মতো ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও কী করে এত কালো টাকা ছড়িয়ে রয়েছে, তা নিয়ে গভীর চিন্তায় নির্বাচন কমিশন। সেই কারণেই কালো টাকার লেনদেন বন্ধ সহ বেআইনি মদ, নারকোটিক্স, সোনারুপোর মতো ধাতু বাজেয়াপ্ত করতে বাড়তি উদ্যোগ নিচ্ছে কমিশন। জোর দেওয়া হচ্ছে তল্লাশি অভিযানে। রাজ্যে রাজ্যে পাঠানো নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকদের আরও বেশি করে চোখ কান খোলা রাখতে বলেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। দিল্লির নির্বাচন সদন থেকে যাচ্ছে ঘন ঘন নির্দেশ। লক্ষ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ও স্থানীয় প্রশাসনকে আরও তৎপর করে তোলা।
সপ্তদশ লোকসভা সহ কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে গত ১০ মার্চ। তারপর থেকে পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে এখনও পর্যন্ত যে পরিমাণ হিসেব বর্হিভূত সামগ্রী বাজেয়াপ্ত হয়েছে, তার একটি বিস্তারিত তালিকা দিয়েছে কমিশন। যেখানে এখনও পর্যন্ত গোটা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হিসেব বহির্ভূত নগদ ধরা পড়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে। পরিমাণ ৫৫কোটি টাকা। সবচেয়ে কম ত্রিপুরায়। বিজেপি শাসিত এই রাজ্য থেকে এখনও পর্যন্ত হিসেব বহির্ভূত মাত্র ৩০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। গুজরাত থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা। পশ্চিমবঙ্গে কমিশন এখনও পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করেছে ৬ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা।
নগদের পাশাপাশি গোটা দেশ থেকে যে পরিমাণ বেআইনি যে মদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে, তার আর্থিক মূল্য ৯৩ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা। বেআইনি ড্রাগস, নারকোটিক্স যা বাজেয়াপ্ত হয়েছে তার আর্থিক মূল্য ১৩৩ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা। হিসেব বহির্ভূত বাজেয়াপ্ত সোনা, রুপোর মতো ধাতুর মূল্য ১৬৯ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা। এছাড়া ভোট পেতে হিসেব বর্হিভূত নানা বিতরণের উপহার সামগ্রী যা বাজেয়াপ্ত হয়েছে, টাকার অঙ্কে তার পরিমাণ ১২ কোটির কিছু বেশি।