আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
এবারের লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের সঙ্গে জোট করেও ভালো ফল করতে পারেনি কংগ্রেস। মাত্র একটি আসনে জয়ী হয়েছেন ‘হাত’ প্রতীকের প্রার্থী। সবচেয়ে বড় অঘটন হল, টানা পাঁচ বারের সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর পরাজয়। সিপিএমের সঙ্গে বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে হাত ধরাধরি করে চললেও, কংগ্রেসের বাক্সে যে ভোট আসছে না, তা নির্বাচনের ফলাফলেই স্পষ্ট। এই অবস্থায় ‘সিপিএম সঙ্গ’ নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের অভ্যন্তরে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার মৌলালি যুব কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচন সংক্রান্ত কংগ্রেসের আলোচনায় একাধিক নেতা বলেছেন, সিপিএমের সঙ্গে জোট করলেও অনেক জায়গাতেই কংগ্রেস কর্মীরা তা মেনে নিতে পারেননি। এমনকী সিপিএমের থেকেও ভোট কংগ্রসের ঝুলিতে আসেনি। বরং সিপিএমের হাত ধরে ক্ষতি বেশি হয়েছে। একক লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে কংগ্রেসের সংগঠনকে শক্তিশালী করা হোক। অর্থাৎ প্রদেশ কংগ্রেসের একটা অংশ একা লড়াইয়ের পক্ষে সওয়াল করেছে। এছাড়াও চিদাম্বরম সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক সংক্রান্ত খবর আগে থেকে প্রদেশ কংগ্রেসের কাছে না আসায়, উষ্মা প্রকাশ করেছেন নেতারা। তবে সময়ের দাবি ও সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতেই সিপিএমের সঙ্গে সম্পর্ক, পাল্টা যুক্তি দেন অধীর চৌধুরী।
অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেসের কমিটিতে রদবদলের যাবতীয় সিদ্ধান্ত সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির উপর ন্যস্ত করা হয়েছে। এটা মনে করা হচ্ছে, কিছুদিনের মধ্যে প্রদেশ কংগ্রেসে রদবদল হতে পারে। তার আগে রাজ্য কংগ্রেসের নেতাদের মতামত সংগ্রহ করছেন পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের ইনচার্জ গোলাম আহমেদ মীর। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, আমি রাজ্য সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিইনি। তবে মল্লিকার্জুন খাড়্গে যখন নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন, তখন থেকে আমি সহ সব রাজ্যের সভাপতিরা অস্থায়ী হিসেবে কাজ করছি। রাজ্যের নতুন কমিটি তৈরি করবে সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি।
দলীয় সূত্রে খবর, এদিনের বৈঠকে কংগ্রেসের দুই নেতা আওয়াজ তুলেছেন, তফসিলি অথবা আদিবাসী সম্প্রদায়ের কোনও প্রতিনিধিকে সভাপতি করা হোক। অথবা যিনি রাজ্যে বেশি সময় দিতে পারবেন, তাঁকে করা হোক। এদিন কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী ঈশা খান চৌধুরিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে নেওয়া রেজিলিউশন বলা হয়েছে, রাহুল গান্ধীকেই দেশের বিরোধী দলনেতা করা হোক।