আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
তৃণমূলের অভিযোগ, কেন্দ্র বারবার ‘পিএমশ্রী’ প্রকল্পের সঙ্গে স্কুলশিক্ষার অন্যান্য প্রকল্পগুলি জুড়ে দিতে চাইছে। ‘পিএমশ্রী’ প্রকল্পের পুরো নাম ‘প্রাইম মিনিস্টার্স স্কুলস ফর রাইজিং ইন্ডিয়া’। জাতীয় শিক্ষানীতির অংশ হিসেবে এই প্রকল্পের অধীনে দেশজুড়ে ১৪ হাজার ৫৯৭টি স্কুল চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে শিক্ষামন্ত্রক। স্কুলগুলি কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবেই চলবে। কিন্তু প্রকল্পের ৪০ শতাংশ ব্যয়ভার রাজ্যকে বহন করতে হবে। এই কারণে বিভিন্ন রাজ্য বেঁকে বসে। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ‘মউ’ স্বাক্ষর করেনি তারা। জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধী কেরলের কয়েকশো কোটি টাকা এই কারণে আটকে রেখেছে কেন্দ্র। বাধ্য হয়ে সম্প্রতি কেরল ‘পিএমশ্রী’ প্রকল্প মেনে নিয়েছে। কিন্তু তাতেও বকেয়া টাকা মেলেনি বলে খবর। পাশাপাশি বাংলাও কেন্দ্রের সঙ্গে ‘মউ’ স্বাক্ষরের পথে হাঁটেনি।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘যে প্রকল্পে রাজ্যও ৪০ শতাংশ ব্যয়ভার বহন করবে, সেটির নাম পিএমশ্রী-সিএমশ্রী করা হোক। অথবা, একটি প্রকল্পে মউ স্বাক্ষর না করার জন্য অন্য প্রকল্পের অর্থ আটকে রাখার শর্ত বাতিল করুক কেন্দ্র। আমরা জানি, শিক্ষামন্ত্রক, অর্থমন্ত্রক থেকে বিভিন্ন খাতের বরাদ্দ ছেড়ে দেওয়া হলেও পিএমশ্রী প্রকল্পের মউ স্বাক্ষর না করায় পশ্চিমবঙ্গকে সেই অর্থ থেকে দেওয়া হচ্ছে না।’ প্রসঙ্গত, সমগ্র শিক্ষা অভিযানের বরাদ্দের উপর কোনও রাজ্যের বুনিয়াদি স্তরের শিক্ষা নির্ভর করে। শিক্ষা যৌথ তালিকাভুক্ত হওয়ায় কেন্দ্রও অর্থ পাঠাতে বাধ্য। সেখানেই ইচ্ছাকৃত গড়িমসির অভিযোগ উঠছে। ব্রাত্যবাবু কেন্দ্রের এই আচরণকে ‘অমানবিক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘এই ঘটনা স্বাধীনতার পর যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় সবচেয়ে বড় আক্রমণ, যা গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায়।’