মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
ডিজিটাল রেশন কার্ডের সংখ্যা কমতে পারে, এর একটা ইঙ্গিত আসছে আধার নম্বর সংযুক্তিকরণের পরিসংখ্যান থেকে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে আধার সংযুক্তিকরণ করতে হবে। হাতে এখনও মাস দেড়েক সময় আছে। খাদ্য দপ্তর সূত্রে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় ৭ কোটি ২৮ লক্ষ রেশন গ্রাহকের আধার সংযুক্তিকরণ হয়েছে। খাদ্য দপ্তরের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রথম দিকে যে হারে আধার সংযুক্তিকরণ হচ্ছিল, এখন তা আর হচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত মোট কত রেশন কার্ডে আধার সংযুক্তিকরণ হল, তা জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
আধার সংযুক্তিকরণের কাজ দুই জায়গায় হচ্ছে। বিশেষ শিবিরে আবেদনকারীদের ডাকযোগে যে নতুন রেশন কার্ড গ্রাহকের বাড়িতে সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেগুলির আধার নম্বর সংযুক্তিকরণ খাদ্য দপ্তরের অফিসেই করা হচ্ছে। এবার নতুন কার্ডের জন্য ৩ ও ৪ নম্বর ফর্মে আবেদন করার সময় বাধ্যতামূলকভাবে আধার নম্বর দিতে হয়েছে। আগে ফর্মে বাধ্যতামূলকভাবে আধার নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল না। আগে ইস্যু হওয়া ডিজিটাল রেশন কার্ডের আধার নম্বর সংযুক্তিকরণ গ্রাহককে তাঁর রেশন ডিলারের কাছে গিয়ে ই-পস মেশিনের মাধ্যমে করতে হচ্ছে।
বিশেষ শিবিরে রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন, এমন ৩০ লক্ষের কিছু বেশি নতুন কার্ড ডাক যোগে পাঠানো হচ্ছে। খাদ্য দপ্তর সূত্রের খবর, প্রায় ১৫ লক্ষ কার্ড ইতিমধ্যে পাঠানো হয়ে গিয়েছে। খাদ্য দপ্তরের অফিসে পড়ে থাকা কয়েক লক্ষ ডিজিটাল কার্ডও ডাকযোগে পাঠানো হবে। এতে আধার সংযুক্তকরণের সংখ্যা আরও বাড়বে। কিন্তু তা হলেও আধার সংযুক্ত কার্ড সব মিলিয়ে ৯ কোটি অতিক্রম করবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
এখন যে নতুন ডিজিটাল রেশন কার্ডগুলি পাঠানো হচ্ছে, সেগুলি সবই এক নম্বর খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের। এই প্রকল্পে গ্রাহকরা মাসে মাথাপিছু দুই টাকা কেজি দরে চাল ও গম পান। খাদ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই শ্রেণীর রেশন গ্রাহকের সংখ্যা এখন প্রায় ১ কোটি ৭৮ লক্ষ।
রাজ্য সরকার পুরোপুরি আর্থিক দায় বহন করে এক এবং দুই নম্বর রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের। দুই নম্বর প্রকল্পের আওতায় থাকা রেশন গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৪৫ লক্ষ। দুই নম্বর খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে মাসে মাথাপিছু এক কেজি করে চাল ও গম দেওয়া হয়। দাম যথাক্রমে ১৩ টাকা ও ৯ টাকা। খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা মনে করছেন, দুই নম্বর প্রকল্পের গ্রাহকদের একটা বড় অংশ এই কার্ড রাখার ব্যাপারে আগ্রহী হবেন না। দাম বেশি ও বরাদ্দ কম হওয়া অনাগ্রহের কারণ। ফলে তাঁদের আধার সংযুক্তিকরণ কম হতে পারে। এই কার্ডের সংখ্যা কমলেও খাদ্য খাতে রাজ্যে সরকারের ভর্তুকি বেশ কিছুটা কমবে।