আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
অভিযোগ, সিঙ্গুরের গোবিন্দপুরের ওই কৃষি সমবায়ের দখল নিজেদের কব্জায় রাখতে বামেরা বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা করেছিল। রাম ও বামের অলিখিত জোট নির্বাচনে লড়েছিল। ৪৫ আসনের মধ্যে বিজেপি ১২টি ও বামেরা বাকি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। কিন্তু শেষপর্যন্ত রাম-বাম জোটকে পর্যুদস্ত করে প্রথমবারের জন্য গোবিন্দপুর সমবায়ে উড়ল ঘাসফুলের পতাকা। এনিয়ে মন্ত্রী বেচারাম বলেন, সিঙ্গুরের অনেক সমবায়ই নানাভাবে বামেরা কুক্ষিগত করে রাখার চেষ্টা করেছে। গোবিন্দপুরেও বামেরা, বিজেপির হাত ধরেছিল। কিন্তু মানুষ চেয়েছিলেন ওই সমবায় পরিচালনার ভার আমাদের হাতে দিতে। রাজ্যের কৃষকদরদী দলের হাতেই গোবিন্দপুর সমবায় এসেছে। এই জয় মা-মাটি-মানুষের, এই জয় অনৈতিক জোটের বিরুদ্ধে মানুষের সংঘবদ্ধ লড়াইয়ের। দ্রুত আমরা বোর্ড গঠন করে কৃষকদের উন্নয়নের কাজে নামব। দীর্ঘ ৩৪ বছর পরে ‘বামদুর্গ’ হাতছাড়া হওয়া প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা তথা এবারের লোকসভার প্রার্থী মনোদীপ ঘোষ বলেন, সমবায়ের নির্বাচন কোনও দলের তত্ত্বাবধানে হয় না। সেখান কৃষকরা উপভোক্তা। তাঁরাই পরিচালন সমিতি নির্বাচন করেন। তাঁরা যা চেয়েছেন তাই ফলাফল হয়েছে। আমাদের সঙ্গে বিজেপির কোনও সখ্য নেই। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, সিঙ্গুরের সমবায়ের ভোটের বিষয় জানি না। তবে বিজেপি সিঙ্গুরের কোনও নির্বাচনে লড়েনি। স্থানীয়স্তরে কোনও সমীকরণ তৈরি হয়ে থাকতে পারে। মানুষ সবসময়েই তৃণমূলের বিরোধী জোট চাইছেন।
রাজনৈতিক মহল বলছে, গত লোকসভা নির্বাচনে শেষবার সিঙ্গুরে ঘাসফুলের পরাজয় হয়েছিল। তারপর গত বিধানসভা থেকে শাসকদলের বিজয় রথ চলতে শুরু করে। লোকসভা পেরিয়ে সমবায়ের নির্বাচনেও সেই সবুজ-দৌড় অব্যাহত। রবিবারের নির্বাচন সেই কথাই বলছে।