আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
১৭ জুন শান্তনুবাবুর বাড়ি ফেরার কথা ছিল। এনজিপি স্টেশন থেকে ট্রেন ধরার আগে বাড়িতে ফোনও করেছিলেন। তারপর ওঠেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে। ট্রেনে উঠে মোবাইল দেখতে দেখতে হঠাৎ সব যেন ওলটপালট হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় কামরার আলো। সজোরে ঝাঁকুনি লাগে। ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় ট্রেন। শেষের দিকের তিন নম্বর কামরাটি সম্পূর্ণ উল্টে যায়। এই কামরাতেই ছিলেন শান্তনু। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফেরার পর দেখতে পান কামরা উল্টে গিয়েছে। তিনি তার মধ্যে গড়াগড়ি খাচ্ছেন। শরীরে ভয়নাক যন্ত্রণা। কোনরকমে কামরার বাইরে বেরিয়ে আসেন। তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। চিকিৎসরা পর উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ১৪ জুন শান্তনু দার্জিলিংয়ে গিয়েছিলেন। শিলিগুড়িতে তাঁর দুই বন্ধু থাকেন। ১৭ জুন সকালে তিনি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় ট্রেন দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। তাঁর ডান পায়ের গোড়ালিতে মারাত্মক চোট লাগে। বর্তমানে কিছুটা সুস্থ। শান্তনুবাবু বলেন, ‘সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কথা এখনও ভুলতে পারিনি। জ্ঞান ফিরতে তাকিয়ে দেখি ট্রেনের কামরায় কেউ নেই। বাড়িতে সবাই খুব চিন্তায় রয়েছেন। এক-দু’দিনের মধ্যে বাড়ি ফিরব।’