আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে শহরে। ভেঙে পড়েছে গাছও। এর ফলে বন্ধ হয়ে যায় একাধিক রাস্তা। ঝড়ের দাপট কমার পর গাছ কাটা শুরু করে পুরসভার উদ্যান বিভাগ। সূত্রের খবর, ৫০টি টিম শহরে ৭২ ঘণ্টা ধরে কাজ করে চলেছে। শহরে গাছ ভেঙে পড়া নিয়ে ৫৩৬টি অভিযোগ এসেছে। তার মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩৮১টি জায়গায় গাছ কেটে রাস্তা সাফ করা হয়। কাজ এখনও চলছে। সমস্যা বাড়িয়েছে বট ও অশ্বত্থ গাছ। সেগুলি কাটতে কালঘাম ছুটছে কর্মীদের। উদ্যান বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, উপ-পুনের সময় আমাদের পাগল হওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। ঘন ঘন গাছ ভেঙে পড়ার খবর আসছিল। গোটা শহরে প্রায় হপ্তাখানেক ধরে কাজ চালাতে হয়। ওড়িশা থেকে গাছ কাটার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষিত দলও ডাকতে হয়েছিল। তার সঙ্গে ছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দলও। কিন্তু এবার সেই পরিস্থিতি হয়নি। যা গাছ পড়েছে তাতে শুক্রবারের মধ্যে সব সাফ করে দেওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। উপ-পুনের সময় গোটা শহর কমবেশি বিপর্যস্ত হয়েছিল। এবারও তাই হয়েছে। এবার সবথেকে বেশি গাছ ভেঙেছে পার্ক স্ট্রিট, ক্যামাক স্ট্রিট, নিউ আলিপুর, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড সহ সাত ও ১০ নম্বর বরো এলাকায়। আয়লায় গোটা শহরজুড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সবথেকে বেশি গাছ পড়েছিল ট্যাংরা, তপসিয়া, বাইপাস, বেলেঘাটা, মানিকতলা, উল্টোডাঙা, ফুলবাগান, কাঁকুড়গাছি এলাকায়। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মল্লিকবাজার, শোভাবাজার সহ বেশকিছু এলাকায় বড় বিল্ডিং বা বাড়িতে গাছ ভেঙে পড়ে এবার বিপত্তি ঘটেছে। সরাতে সময় বেশি লাগছে। -ফাইল চিত্র