আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
সোমবার সকালে বড়বাজারের রং পট্টির দোকান খোলার আগেই ভিড় জমেছে। ঝাঁপ খুলতে না খুলতেই শুরু হয়ে গেল আবির বিক্রি। সবুজ ও গেরুয়ারই চাহিদা। তৃণমূল কিনছে সবুজ। বিজেপি কিনছে গেরুয়া। লাল আবিরের বস্তাগুলি খোলা হয়নি। খুলবে বলে মনেও হচ্ছে না। শহর ও শহরের কাছাকাছি থাকা রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকরা দেদার কিনেছেন, এখনও কিনছেন। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন খুচরো ব্যবসায়ীরা। তাঁরা প্রচুর পরিমাণ আবির কিনছেন। অধিকাংশ কিনেছেন সবুজ। উত্তরবঙ্গের অনেকে গেরুয়া আবির কিনে নিয়ে ফিরছেন নিজের রাজ্যে। এক বস্তা বা পাঁচ-দশ-এক কেজির পাঁচ‑দশটি করেও আবিরের প্যাকেটও কিনে নিয়ে গিয়েছেন অনেকে।
পণ্ডিত পুরুষোত্তম রায় স্ট্রিটের রং ব্যবসায়ী সমীরণ পাল বলেন, ‘সকালে দোকান খোলার পর থেকেই সবুজ ও গেরুয়া আবির বিক্রি হচ্ছে। বিকেল পর্যন্ত কেউ লাল আবির কেনেনি। ফলে ডাঁই হয়ে পড়ে লালের বস্তা।’ একই বক্তব্য আর্মেনিয়ান স্ট্রিটের শম্ভু সাউ। তাঁর কথায়,‘লাল আবির কেউ চাইছেন না। তাই বাধ্য হয়েই লালের প্যাকেটগুলি সরিয়ে রেখেছি।’ অন্যান্য ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, সকাল থেকে শুধুমাত্র কলকাতা ও তার আশপাশের জেলাই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খুচরো ব্যবসায়ীরা আসেন বড়বাজারে আবির কিনতে। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান, উত্তরবঙ্গ সহ বিভিন্ন জেলা থেকেও আসেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া এ রাজ্যের উলুবেড়িয়া, বারাসত, বারাকপুর, বজবজ, বালি, শ্রীরামপুর, সাতগাছিয়া, মহেশতলা প্রভৃতি এলাকা থেকেও এসেছেন। বজবজ থেকে এসেছিলেন তপন নস্কর। তাঁর সেখানে দোকান রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভোটের ফলাফল নিয়ে এক্সিট পোল কী বলল না বলল তা নিয়ে মাথাই ঘামাচ্ছি না। আমরা ব্যবসা করে খাই। তাই সবুজ আবিরের প্যাকেট বেশি করে কিনে নিয়ে যাচ্ছি।’ উলুবেড়িয়া থেকে আসা কয়েকজন বিজেপি কর্মী একটি দোকান থেকে পাঁচ কেজির দু’টি গেরুয়া আবিরের প্যাকেট কিনলেন। তাঁদের কথায় স্পষ্ট আত্মবিশ্বাস-বিজেপির প্রার্থীই জিতছে। সবমিলিয়ে আবিরের বাজার চাঙ্গা। বেজায় খুশি রং ব্যবসায়ীরা। তাঁদের বক্তব্য, ‘যারাই জিতুক, রেজাল্টের পর অকাল হোলি। বাজার এখন চলবে। আরও দিন দুই আবির বিক্রিও হবে।’