গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল, বিজেপি এবং সিপিএমের মধ্যে রীতিমতো সেয়ানে সেয়ানে টক্কর হয়েছে। বিশেষত সিপিএম প্রার্থী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় এবার সত্যিই ‘ফ্যাক্টর’। শাসকদলও কিছুটা ‘নির্ভর’ করেছে বামেদের উপর। কারণ তাদের অঙ্কে, বামেদের ভোট বাড়লে কমবে বিজেপি’র ভোট। আর তা হয়ে থাকলে আখেরে সুবিধা হবে তৃণমূলেরই। কিন্তু বামেরা বিজেপি’র পাশাপাশি তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কেও থাবা বসায়নি তো? এই আশঙ্কাও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না তৃণমূল শিবির। তাই বিধানসভা ভিত্তিক কোথায় কতটা লিড হতে পারে, তা নিয়ে এখন থেকেই কাটাছেঁড়া শুরু করেছেন দলের নেতারা। তৃণমূলের একটি সূত্র বলছে, উত্তর হাওড়ায় বিশেষ ভালো ফলের আশা করা যাচ্ছে না। সেখানে ঘাটতি থাকলেও থাকতে পারে। এই ঘাটতি পূরণ করতে হবে বাকি ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্র দিয়ে। ফলে ওই ছ’টি এলাকার উপর কতটা চাপ বাড়ল, সেটাই এখন দেখার।
ভোটের দিন কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি হয়েছে। ব্যতিক্রম নয় বালিও। এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল খুব বেশি লিড পাবে না বলেই মনে করছেন শাসকদলের নেতারা। তবে বিজেপি ও সিপিএমের মধ্যে ভোট কাটাকাটি হলে সুবিধা পেয়ে যাবে তৃণমূল। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে শাসকদল ভালোই ফলই করেছিল। মধ্য হাওড়া তৃণমূলের অন্যতম ঘাঁটি। এখানে পায়ের তলার জমিও মজবুত। এক নেতার কথায়, আমরা এখান থেকে খুব কম হলেও দশ হাজারের উপর লিড দেব। যদিও প্রকাশ্যে তাঁরা বলছেন, লিড কুড়ি হাজার হবে। শিবপুরেও তৃণমূল প্রার্থীকে এগিয়ে রেখেছেন ঘাসফুলের নেতারা। তবে এখানে তৃণমূলের চিন্তা তৃণমূলকে নিয়েই। কারণ, দলে একাধিক গোষ্ঠী রয়েছে। স্বভাবতই অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব উড়িয়ে দিচ্ছেন না দলীয় নেতাদের একাংশ। এখানে বেশ কয়েকটি আবাসনের বাসিন্দাদের সঙ্গে ফোনে সরাসরি কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই আবাসনের ভোট ধরে রাখতে পারলে অনেকটাই এগিয়ে যাবে তৃণমূল। দক্ষিণ হাওড়ার একাংশ পুর এলাকা, অন্য অংশে পঞ্চায়েত। ওই এলাকার নেতাদের বক্তব্য, শহরের তুলনায় পঞ্চায়েত এলাকায় ভালো ফল হবে। সব মিলিয়ে হাজার দশেক লিড তো থাকবেই। তবে চিন্তামুক্ত রাখছে সাঁকরাইল এবং পাঁচলা।
তৃণমূলের সূত্র বলছে, এই দুই বিধানসভা এলাকাই অন্য প্রার্থীর সঙ্গে শাসকদলের প্রার্থীর ব্যবধান বাড়িয়ে দেবে। লিড আসবে অনেকটাই। এক নেতার দাবি, এবারের ভোট অন্য রকম হয়েছে। মানুষের ‘মন পড়া’ যায়নি। তাছাড়া সাঁকরাইলে বিজেপিকে দেখতে শক্তিশালী মনে হলেও আদতে ফলাফল তাদের অনুকূলে যাবে না। আর পাঁচলা দু’হাত উপুড় করে আশীর্বাদ করেছে তৃণমূলকে। তাহলে সব মিলিয়ে কত হবে লোকসভার লিড? কুড়ি, তিরিশ নাকি পঞ্চাশ হাজারের ঘরে? এই প্রশ্নের উত্তর বুধবারও স্পষ্ট করতে পারেননি তৃণমূলের ভোট বিশেষজ্ঞরা।