আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
প্রচণ্ড গরমে দক্ষিণবঙ্গে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। মঙ্গলবার হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্সে গরমে অসুস্থ হয়ে এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সুকুমার মালিক (৫২) নামে ওই ব্যক্তি চিকিৎসার জন্য ভেলোরের ট্রেন ধরতে হাওড়া স্টেশনে এসেছিলেন। প্ল্যাটফর্মে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে রেল পুলিসের সহায়তায় তাঁকে তাড়াতাড়ি হাওড়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, এমনিতেই সুকমারবাবু অসুস্থ ছিলেন। প্রচণ্ড গরমে তাঁর শরীর আরও খারাপ হয়ে পড়ার জন্য মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানার জন্য দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। বাঁকুড়া শহরে সানস্ট্রোকে শোভন পূজারু (৪০) নামে এক ব্যাক্তি অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছেন। টোটো করে যাওয়ার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পুরুলিয়াতে এক নাবালক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, গরম থেকেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। ঝালদা থানার সারজুমথু গ্রামে প্রাথমিক স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ভুবন মাহাতো (১০) সোমবার প্রচণ্ড গরমের মধ্যে স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং মারা যায়।
গরমের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় স্থানীয় বজ্রগর্ভ মেঘ সৃষ্টি হয়ে বজ্রপাত সহ বৃষ্টিও হচ্ছে। বজ্রপাত থেকেও সোম ও মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গরমের সঙ্গে বজ্রপাতের বিপদের ব্যাপারে একগুচ্ছ বিশেষ পরামর্শ জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। বজ্রপাত শুরু হলেই নিরাপদ জায়গায় থাকতে বলেছে আবহাওয়া দপ্তর।
দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের জন্য সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির আশপাশে বা তারও বেশি থাকছে। কিন্তু উপকূল সংলগ্ন ও কাছাকাছি এলাকায় তাপমাত্রা অতটা বেশি না হলেও গরমে জেরবার হতে হচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এর কারণ হল, উপকূল ও সংলগ্ন এলাকায় বাতাসে জলীয় বাষ্পের মাত্রা খুব বেশি হওয়ার কারণে ভ্যাপসা গরমে অসহনীয় পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। মঙ্গলবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা কমে ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও সর্বনিম্ন আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেড়ে ৬৩ শতাংশ হয়ে যায়। এদিন পুরুলিয়ার (৪৪.৩ ডিগ্রি) তাপমাত্রা ছিল দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে সবথেকে বেশি।