আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
গত আগস্টে রানাঘাট ও পুরুলিয়ায় একই দিনে সেনকোর দু’টি শোরুমে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সব মিলিয়ে কোটি টাকার সোনা ও হিরে লুট হয়। দু’দিন আগে রানিগঞ্জে একই কায়দায় গয়নার দোকানে অপারেশন চালায় বিহারের ডাকাত দল। ২০২৯-২৩ সালের মধ্যে রাজ্যে একাধিক স্বর্ণ ঋণদাতা সংস্থায় লুটের ঘটনা ঘটেছে, বাদ নেই কলকাতাও।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নাম জড়িয়েছে জেলবন্দি সুবোধ সিংয়ের। এর বাইরে বিহারের একাধিক জেলে বন্দি আরও কয়েকজন ডন সক্রিয় বলে খবর রয়েছে রাজ্য পুলিসের কাছে। কারগারের চার দেওয়ালে বসে তারা একের পর এক অপারেশনের প্ল্যান করে যাচ্ছে। প্রতিটি অপারেশনের স্টাইল এক হলেও গ্যাংয়ের সদস্য পাল্টে যাচ্ছে।
আধিকারিকরা বুঝতে পারছেন, সমস্যার একেবারে গোড়ায় না ঢুকলে এই ধরনের অপরাধ ঠেকানো যাবে না। সুবোধ বাদে ‘ভিতরে’ আর কোন কোন বড় মাথা সক্রিয়, সেই তথ্য চান তদন্তকারীরা। এমনকী এরাজ্যে আসানসোল, দুর্গাপুর, বর্ধমান, পুরুলিয়া এবং উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় তাদের গ্যাংয়ের মেম্বাররা দাপাচ্ছে। জেলবন্দি গ্যাংস্টারদের মধ্যে যারা সক্রিয়, তাদের সম্বন্ধে তথ্য জানতে বিহার পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বাংলার পুলিস কর্তারা। একটি ডেটাবেস তৈরির জন্য তাদের নামধাম এবং অপরাধের খতিয়ান চাওয়া হয়েছে।
ডনের নির্দেশমতো যারা বাইরে থেকে পুরো টিম চালাচ্ছে, তাদের নাম ও ছবিসহ তালিকা চান পুলিস কর্তারা। তাহলে যেকোনও অপারেশনের পর সংশ্লিষ্ট গ্যাংস্টার এবং তার দলকে দ্রুত শনাক্ত করা যাবে। অপরাধীদের টিমের নিয়মিত আপডেটের উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। এতে জেলবন্দি ডনকে জেরা করার পাশাপাশি তাকে হেফাজতে নিতেও আদালতে সুবিধা পাবে পুলিস। এরাজ্যে সোনার দোকানে লুটের পর গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তদের মধ্যে ইতিমধ্যেই কারা জামিন পেয়েছে কিংবা সাজা খেটে পেয়েছে মুক্তি, তার তালিকা তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।