আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
রবিবার দুপুর ১২টা ২৪ মিনিটে রানিগঞ্জে ওই গয়নার শোরুমে হানা দেয় সাতজনের ডাকাত দল। কয়েক মিনিটের মধ্যে দু’কোটি টাকার অলঙ্কার লুট করে পালায় তারা। ডাকাতদের পিছনে ধাওয়া করে পুলিস। ঝাড়খণ্ড পুলিসের সাহায্য নিয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিস কমিশনাটের অফিসাররা গিরিডি থেকে সুরজকে গ্রেপ্তার করে। সুরজকে ধরার পরই সিওয়ান গ্যাংয়ের সূত্র হাতে আসে তদন্তকারী অফিসারদের। জানা গিয়েছে, অপারেশনে আসা সাত দুষ্কৃতীর বেশিরভাগেরই বাড়ি বিহারের সিওয়ান এলাকায়। পুলিস কমিশনারেটের অফিসারদের নিয়ে তিনটি টিম গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিসের সহযোগিতায় ওই এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি গিরিডির সরাইয়ার জঙ্গলেও তল্লাশি চলছে। সুরজই গ্যাংয়ের বাকিদের গভীর জঙ্গলে নামিয়ে দিয়েছিল।
কে এই সুরজ সিং? পুলিসের দাবি, বিহার-ঝাড়খণ্ডে একাধিক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সে। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, এই গ্যাংয়ের সদস্য রাজকুমার সিং ও খালেদ এবং সুরজ রানিগঞ্জে এসে বেশ কয়েকবার রেকি করে গিয়েছে। রাজকুমারের এক শাগরেদ রয়েছে রানিগঞ্জে। তার মাধ্যমে এই সোনার দোকানে বিপুল পরিমাণ অলঙ্কারের খবর পায় রাজকুমার। তদন্তে নেমে ওই এলাকার টাওয়ার ডাম্প নেন অফিসাররা। দেখা যায়, সুরজের সঙ্গে একাধিকবার কথা হয়েছে রাজকুমারের। এখান থেকেই তদন্তকারীরা ঘটনায় রাজকুমারের যোগের ব্যাপারে নিশ্চিত হন। তদন্তে উঠে আসছে, এই দুষ্কৃতী দলটি অপারেশনে এসে এখানকার প্রি-অ্যাকটিভেটেড সিম ব্যবহার করছিল। আর তা সরবরাহ করেছিল স্থানীয় একজন। তাকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। দুষ্কৃতীদের হাতে থাকা কার্বাইন ও নাইন এমএম আনা হয়েছিল সিওয়ান থেকে। দলের অন্যতম পান্ডা রাজকুমার এই অস্ত্র দিয়েছিল গ্যাংয়ের সদস্যদের। তদন্তকারীরা জেনেছেন, অস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য সিওয়ানে তাদের ক্যাম্প রয়েছে। সেখানে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে রাজকুমার। রানিগঞ্জে আসা অভিযুক্তরা সকলেই অস্ত্র চালনায় দক্ষ। সুবোধের প্ল্যান কার্যকর করেছে রাজকুমার। গোটা অপারেশনে সারাক্ষণ নজরদারি চালিয়েছে। আর নেতৃত্ব দিয়েছে সুরজ।
সিআইডির এক অফিসারের দাবি, এই অভিযানে মোট সাতজন ডাকাত এসেছিল। তার মধ্যে চারজন সুবোধ সিংয়ের সঙ্গে সরাসরি কাজ করে। বাকি তিনজন সিওয়ানের। আসানসোল আদালতেও সুবোধ সিংয়ের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতির মামলা চলছে। বিহারের বেউড় জেলে বসেই সোনা লুটের একের পর এক ছক কষে চলেছে সে। সেখানে তার প্রভাব এতটাই যে, মামলা থাকলেও ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত হয় না। সেজন্য বহু মামলা দিনের পর দিন ঝুলছে।