আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
রাজ্য বিজেপির অন্দরে কান পাতলেই শোনা যায়, গত তিন বছরে ওই নেতার অঙ্গুলিহেলনে দলের যাবতীয় সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। রাজ্য কমিটিতে কয়েকজন ‘তৎকাল’ নেতাকে ঠাঁই করে দিতে তিনিই প্রথম লবি করেছিলেন বলে শোনা যায়। তারপর সেই নেতাদের মাধ্যমে দলের দৈনন্দিন সাংগঠনিক কাজকর্মে সরাসরি বা পরোক্ষে তাঁর মতামত চাপিয়ে দিতেন তিনি। বিজেপির বর্তমান রাজ্য কমিটির সদস্য বাছাইয়ে ওই নেতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে দলের সাতটি মোর্চা, সাংগঠনিক জেলা, এমনকী মণ্ডল সভাপতি পদে নাম ঘোষণার আগেও ওই দলবদলু নেতার অনুমোদন একান্ত জরুরি হয়ে উঠেছিল। সংগঠনে তাঁর প্রভাব বৃদ্ধির সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করে তাঁর অনুগামীদের ক্ষমতা। টাকার বিনিময়ে বঙ্গ বিজেপির পদ বিক্রির অভিযোগে বহু নেতা সরব হন। বঙ্গ বিজেপির ইতিহাসে যা বেনজির। শুধু তাই নয়, সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ওই নেতার মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা অনেকে টিকিট পেলেও অধিকাংশই গোহারা হয়েছেন। শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালে বিজেপির জেতা আসনে এবার প্রার্থী বদলে ফেলার পিছনেও তাঁর ‘হাতযশ’ রয়েছে বলে বিজেপির অন্দরের খবর। এসব কারণে এবার দিল্লি তাঁর ডানা ছেঁটে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এখন দেখার, এর প্রেক্ষিতে রাজ্য বিজেপিতে নয়া কোন সমীকরণের উদ্ভব হয়!