আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রতি বিপুল সমর্থন রেখেছেন বাংলার মানুষ। রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতেছে ২৯টি আসনে। গতবার তৃণমূলের ঝুলিতে ছিল ২২টি আসন। ফলে আগেরবারের থেকে আসন সংখ্যা অনেকটাই বাড়িয়েছে তৃণমূল। লোকসভা আসন ভিত্তিক ভোটের শতাংশ বেড়েছে তৃণমূলের। ডায়মন্ডহারবার থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেছেন সাত লক্ষাধিক ভোটে। এছাড়া বসিরহাট, কৃষ্ণনগর, বহরমপুর, মেদিনীপুর, আরামবাগ, কোচবিহার ও বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনেও উল্লেখযোগ্য ফল করেছে তৃণমূল।
২৯টি আসন জয়ের পাশাপাশি কয়েকটি আসনে তৃণমূল হেরেছে যৎসামান্য ভোটের ব্যবধানে। কিছু স্থানে নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্ব এবং বিজেপির গুন্ডামি নিয়ে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। ভোটের ফল নিয়ে তৃণমূল আগামী দিনে বিশদেই কাটা-ছেঁড়া করবে। তবে জোড়াফুল শিবির স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, সবার আগে জরুরি মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা। দু’বছর বাদেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। ফলে সাংগঠনিক ফাঁকফোকর এই সময়ের মধ্যেই ভরাট করে নিতে তৃণমূল যেমন উদ্যোগী হয়েছে, তেমনই রাজ্য সরকারও চাইছে উন্নয়নের কর্মকাণ্ড দ্রুততার সঙ্গে চালিয়ে যেতে। রাজ্যজুড়ে উন্নয়নের ঢেউ তোলাই মা-মাটি-মানুষের সরকারের চূড়ান্ত লক্ষ্য। অভিষেক বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন, এই প্রেক্ষাপটে জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতৃত্বকে কর্তব্যপরায়ণ করে তোলার উপর। তাঁদের প্রতি দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের নির্দেশ, সম্মান জানাতে হবে মানুষকে।
তৃণমূলের পরবর্তী বড় কর্মসূচি ২১ জুলাই বা শহিদ দিবস পালন। লোকসভা নির্বাচনের সাফল্য ওইদিনই মঞ্চ থেকে রাজ্যবাসীকে উৎসর্গ করবে তৃণমূল। তার প্রস্তুতি শুরু হবে দিন কয়েকের মধ্যেই। সাংগঠনিক ক্ষেত্রে বেশ কিছু রদবদলও করতে চলেছে নেতৃত্ব।