আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
জামুড়িয়া থানার শ্রীপুর ফাঁড়ির আইসি মেঘনাদ মণ্ডল রবিবার দুপুরে সিসি ক্যামেরার সরঞ্জাম কিনতে এসেছিলেন রানিগঞ্জের তারবাংলা মোড়ে। পুলিসের চোখ! নিমেষে বুঝে নিয়েছিলেন সোনার দোকানে ডাকাত পড়েছে। গায়ে পুলিসের উর্দি না থাকলেও সঙ্গে ছিল বিশ্বস্ত সার্ভিস রিভলবারটি। সেটি বাগিয়ে সোনার দোকানের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন মেঘনাদ। এরপর যা ঘটে তা সাধারণত হলিউডের অ্যাকশন ছবিতেই দেখতে অভ্যস্ত মানুষ। ইন্সপেক্টর হ্যারি কালহান ওরফে ‘ডার্টি হ্যারি’-র মতো কুইক অ্যাকশনে নামেন মেঘনাদ। লুটতরাজ শেষ করে মেশিনগান হাতে নিয়ে এক ডাকাত বেরনো মাত্র তার কোমর লক্ষ্য করে গুলি চালান। অব্যর্থ নিশানা! কোমরে গুলি খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সেই ডাকাত। তারপর বাকি ছয় ডাকাত মেঘনাদবাবুকে লক্ষ্য করে মুহর্মুহু গুলি চালাতে থাকে। বিদ্যুতের একটি খুঁটিকে আড়াল করে পাল্টা গুলি ছুড়তে থাকেন মেঘনাদও। মুহূর্তে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। গুলির শব্দে এলাকা কেঁপে ওঠে। লোকজন যে যেদিকে পারে পালাতে থাকে। কিন্তু কর্তব্যে অচল অটল থাকেন মেঘনাদ। ডাকাতদের ছোড়া একটি গুলি তাঁর পা ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। কিন্তু তাতেও টলানো যায়নি মেঘনাদকে। তাঁর অব্যর্থ নিশানা ও কলজের জোরের কাছে হার মেনে একটি বাইক ফেলে রেখেই পিঠটান দিতে বাধ্য হয় ডাকাতদল। সঙ্গে অবশ্য গুলি খাওয়া সঙ্গীকে তুলে নিয়ে যায় তারা।