আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের তিনটি টার্মে বিভিন্ন দফায় বঙ্গ বিজেপির মোট আটজন এমপি মোদি মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। প্রত্যেককেই কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবারেও তার ব্যতিক্রম হল না। শান্তনুবাবু দ্বিতীয় মোদি সরকারেও মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মধ্যে একমাত্র তিনিই জিতেছেন। তারই ‘পুরস্কার’ পেলেন তিনি। তবে সুকান্তবাবু কেন্দ্রে মন্ত্রী হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি তাহলে কে হবেন? কারণ, বিজেপিতে এক ব্যক্তি, এক পদ নীতি চালু রয়েছে। সেই নিয়মমতো সুকান্তবাবু একইসঙ্গে দলের রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রে মন্ত্রী থাকতে পারবেন না।
দলীয় সূত্রের খবর, আগামী দু’মাসের মধ্যে নতুন রাজ্য সভাপতি দায়িত্ব নেবেন। তাঁরই নেতৃত্বে ২০২৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন লড়বে বিজেপি। ফলে বাংলায় নতুন রাজ্য সভাপতি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বহু অঙ্ক কষতে হবে দলীয় নেতৃত্বকে। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, এবারের লোকসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে বাংলার ১৪৬টি বিধানসভা আসনে ৪০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে গেরুয়া শিবির। তাই বিধানসভা ভোটের রণকৌশল তৈরির জন্য উপযুক্ত সমীকরণ মেনেই এগতে হবে। বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে, রবিবার সকালেই নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে চা-চক্রে উপস্থিত থাকার জন্য ফোন যায় শান্তনু এবং সুকান্তবাবুর কাছে। তখনই স্পষ্ট হয়ে যায়, বঙ্গ বিজেপির এই দু’জন এমপিই তৃতীয় মোদি সরকারের মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে চলেছেন। দু’জনেই যে রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাবেন এদিন তা নিজেই জানিয়েছেন সুকান্তবাবু। সেইসঙ্গে বলেছেন, ‘বালুরঘাট থেকে আমিই প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। গোটা রাজ্যের পাশাপাশিই বালুরঘাটের উন্নয়নও আমার প্রাথমিক লক্ষ্য। বালুরঘাটে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির চেষ্টা করব। তবে রাজ্য সহযোগিতা না করলে উন্নয়ন সম্ভব হবে না। এর আগেও কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্য কোনওরকম সহযোগিতা করেনি।’