আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
১০ মেট্রিক টন অর্থাৎ ১০ হাজার কেজি মধু সংগ্রহ করে আনার টার্গেট সংগ্রহকারীদের দিয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগ। কাজ শেষে দেখা গেল, মৌলিরা লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে গিয়েছেন। দশের জায়গায় ১৫ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছেন। গতবার অবশ্য এর থেকেও বেশি এনেছিলেন তাঁরা। ২০২৩ সালে ১৭ মেট্রিক টন সংগ্রহ করেছিলেন। এ বছরের ১৫ মেট্রিক টন মধু বনদপ্তরের অধীনে থাকা ফরেস্ট ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন কিনে নিয়েছে। প্যাকেজিংয়ের পর তা বাজারে বিক্রি হবে বলে জানা গিয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগের আওতায় থাকা রামগঙ্গা, রায়দিঘি ও মাতলা রেঞ্জের জঙ্গলে প্রাকৃতিক মধু সংগ্রহ করতে চলতি বছর ৯১টি দলকে অনুমতি দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। সবমিলিয়ে ৪৩০ মৌলি দলে ছিলেন। মার্চ মাসের শেষের দিকে বিভিন্ন জঙ্গলে চলে যান তাঁরা। কোনও দল দু’সপ্তাহ, কোনও দল সাত-দশদিন ধরে মধু সংগ্রহ করে ফিরে এসেছে। অন্যান্যবার এই কাজের জন্য মৌলিদের দু’মাসের মতো সময় দেওয়া হতো। এবার বরাদ্দ সময় কমানো হয়েছিল। বনবিভাগ সূত্রে খবর, এবার সবথেকে বেশি মধু পাওয়া গিয়েছে রায়দিঘি রেঞ্জ থেকে। তবে আগের বছরগুলিতে উৎকৃষ্ট মানের, ‘এ’ ক্যাটাগরির মধু বেশি মিলেছিল। এবার ‘বি’ ক্যাটাগরির মধু বেশি মিলেছে। বনবিভাগের কর্তারা জানিয়েছেন, এবার প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূল ছিল। ফলে লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেশি মধু পাওয়ার প্রত্যাশা ছিল। বাস্তবে হল সেটা। তবে ‘এ’ ক্যাটাগরির মধু কেন বেশি পাওয়া গেল না, সেটা খোঁজ করে দেখতে হবে।
জানা গিয়েছে, করোনা পর্বের পর গত দু’বছর ধরে বেশি মধু জঙ্গল থেকে মিলছে। ২০২১ সালে পাঁচ এবং ২০২২ সালে চার মেট্রিক টন মধু নিয়ে এসেছিলেন মৌলিরা। সংগ্রহ শুরুর আগে মান অনুযায়ী দাম স্থির করেছিল বনবিভাগ। যেমন ‘বি’ ক্যাটাগরির মধু ২৬৫ টাকা প্রতি কেজি। এই দামেই ফরেস্ট ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন সংগ্রহ করা মধুর অধিকাংশ কিনে নিয়েছে। ফাইল চিত্র