জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
এদিকে, কৃষ্ণনগরের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় ও দলের আদি কর্মীদের অসন্তোষের মুখে দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। নির্বাচনের সময় দলের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে শনিবার বিজেপির নদিয়া জেলা কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন আদি কর্মীরা। কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস ও অমিতাভ চক্রবর্তী বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত করে অমৃতাদেবীকে হারানো হয়েছে। বিক্ষোভকারী তথা ৩ নম্বর মণ্ডলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মিলন বিশ্বাস বলেন, ‘কৃষ্ণনগর লোকসভা আমাদের হিসেবে এ ক্যাটিগরির মধ্যে ছিল। তাই প্রধানমন্ত্রী দু’বার এখানে এসেছিলেন। তারপরেও আমাদের প্রার্থী হেরে গিয়েছেন। আমাদের জেলা সভাপতি দলের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত করে বিজেপিকে হারিয়ে দিয়েছেন। নির্বাচনে কাজ করার জন্য ব্লকস্তর পর্যন্ত ঠিকমতো টাকা পাঠানো হয়নি। শুধু তাই নয়, আমাদের আদি কর্মীদের বসিয়ে রেখেছিল জেলা নেতৃত্ব। তাই আমরা জেলা কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি।’ এ বিষয়ে জেলা সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সূত্রের খবর, ২০১৯ সালে যাঁরা কৃষ্ণনগর লোকসভায় বিজেপির ভালো ফলের কারিগর ছিলেন, বিজেপি নেতৃত্ব তাঁদেরকেই এবার ব্রাত্য রেখেছিল। দেখা যায়, বিজেপির অন্তত ১৪০০ জন আদি কার্যকর্তা স্বেচ্ছাবসর নিয়েছেন। তাঁরা সবাই জেলা নেতৃত্বের স্বৈরাচারী আচরণের বিরোধিতা করে সরে যান। এরকম নানা কারণে গোটা নির্বাচন পর্বেই ক্ষুব্ধ ছিলেন নিচুতলার বিজেপি কর্মীরা। শেষ পর্যন্ত বিজেপির ফলাফল কী হয়, সেদিকে তাকিয়ে ছিলেন তাঁরা। ফলাফল বেরতেই সোচ্চার হতে দেখা যাচ্ছে তাঁদের।