গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
আগামী ১৩ মে চতুর্থ দফার নির্বাচন। তার আগে শনিবার
উলুবেড়িয়ার তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদের সমর্থনে পাঁচলায় জনসভা করেন অভিষেক। তারপর তিনি বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী কীর্তি আজাদের সমর্থনে একটি রোড শো এবং সভা করেন। দু’টি জায়গা থেকেই তিনি গত তিন দফায় ভোট দেওয়ার পর সাধারণ মানুষের অভিব্যক্তি তুলে ধরে বোঝাতে চেয়েছেন, বিজেপির পতন শুধু সময়ের অপেক্ষা। তিনি বলেন, ‘যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের চোখ-মুখের ভাষাই বলে দিচ্ছে, আর কেন্দ্রের সরকারে বিজেপিকে দেখতে রাজি নন তাঁরা। ৪ জুন ইভিএম খোলার পর বিজেপি চোখে সর্ষেফুল দেখবে। ৪৪০ ভোল্টের শক খাবে ওরা। ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসবে। উন্নয়নের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’
অভিষেক আরও বলেন, ‘মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে বিজেপি। মানুষ কী খাবে, কী পরবে, তা নির্ধারণ করে দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা। রান্নার গ্যাস থেকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্ব, ধর্মীয় বিভাজন থেকে পিছিয়ে পড়া সমাজের উপর অত্যাচার বৃদ্ধি পেয়েছে মোদির আমলে। তাই এবারের ভোটে বিজেপিকে শিকড় সমেত উৎখাত করতে হবে।’ তাঁর প্রতিশ্রুতি, ‘কেন্দ্রে ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে সাধারণ মানুষের প্রতি বঞ্চনা দূর হবে। তিন মাসের মধ্যে মানুষ তাঁর প্রাপ্য পাবেন।’ অভিষেকের বক্তব্যে যথারীতি উঠে আসে সন্দেশখালির প্রসঙ্গও। সন্দেশখালিকে ইস্যু করে মিথ্যা খবর রটিয়ে বাংলাকে বিজেপি যেভাবে অপমানিত করেছে, তার জবাব ইভিএমে দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন রাখেন তৃণমূলের সেনাপতি। উলুবেড়িয়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রয়াত প্রাক্তন সাংসদ সুলতান আহমেদের কথাও উঠে আসে অভিষেকের বক্তব্যে। তাঁর অভিযোগ, ‘সিবিআইয়ের অত্যাচারের কারণেই অকালে প্রাণ গিয়েছে সুলতান আহমেদের।’ বর্ধমান-দুর্গাপুরে গিয়ে সেখানকার বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের কুরুচিকর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন তিনি। সরব হন কয়লা মাফিয়ার সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছবি নিয়েও।