বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
এই পরিস্থিতিতে কাল, সোমবার জুট কমিশনার ইজমা’র প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছেন। তবে সর্বোচ্চ মূল্য বেঁধে দেওয়া সংক্রান্ত নোটিফিকেশন এই মুহূর্তে প্রত্যাহারের সম্ভাবনা নেই বলে তিনি এদিন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এবার পাটের ফলন খুবই ভালো হয়েছে। তা সত্ত্বেও বাজারে কাঁচাপাটের দাম নিয়ে কিছু অভিযোগ আসছিল। গতবারের কথা মাথায় রেখে চটকল মালিকরাই দাম বেঁধে দেওয়ার পক্ষে এক সময় সওয়াল করেছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ওই নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছে। এরপরও এখন কেন চটকল মালিকরা পাট পাচ্ছেন না, তা বোঝা দুষ্কর। তবে আমি ওঁদের সঙ্গে সোমবার কথা বলব এব্যাপারে। একই সঙ্গে কালোবাজারি রুখতে রাজ্য সরকারকেও পাটের বেআইনি মজুতদারির বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর অনুরোধ জানাব।
ইজমা’র তরফে জুট কমিশনারকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, নিচুতলার বাজারে কাঁচাপাটের অভাব দেখা দিয়েছে সবচেয়ে বেশি। কোনও বিক্রেতাই বেঁধে দেওয়া দরে পাট বিক্রি করতে চাইছেন না। বাড়তি দরে কিছু চটকল মালিকের পাট কেনার ক্ষমতা থাকলেও সরকারি নোটিফিকেশনের কারণে বেআইনি পদক্ষেপ করতে চাইছেন না তাঁরা। এই অবস্থায় চটকলগুলিতে পাটের মজুত খুব কমে এসেছে। এই অবস্থা আরও কয়েক দিন চলতে থাকলে উৎসব মরশুমের মধ্যেই রাজ্যের একগুচ্ছ চটকল এক সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যার জেরে কর্মহীন হয়ে পড়বেন হাজার হাজার শ্রমিক।