বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির অন্যতম সংগঠন ‘ফেডারেশন অব করোগেটেড বক্স ম্যানুফ্যাকচারার্স অব ইন্ডিয়া’র বক্তব্য, গত ১৫ দিনের মধ্যে সেই কাগজের (ক্র্যাফ্ট পেপার) দাম প্রতি মেট্রিক টনে প্রায় ৫ হাজার টাকা বেড়েছে। এর অন্যতম কারণ কয়লার দাম বৃদ্ধি। যেহেতু কাগজকলগুলির মূল জ্বালানি হিসেবে কয়লা ব্যবহৃত হয়, তাই তার দাম বেড়ে যাওয়া গোটা কাগজশিল্পকেই সমস্যায় ফেলেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চীন। সেখানে চরম বিদ্যুৎ সঙ্কট ভারত ও অন্যান্য দেশের কাগজ শিল্পের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। কারণ চীন যেখানে জোগান দিতে পারছে না, তা দিচ্ছে ভারত ও অন্যান্য দেশ। চাহিদা বেড়ে যাওয়ার ফলে কাগজের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এরই সঙ্গে বেড়েছে স্টিচিং কয়েল, স্টার্চ, আন্তর্জাতিক কন্টেনারের ভাড়া। ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায়, তার প্রভাব পড়ছে পরিবহণ খরচেও। বাক্স শিল্পের কর্তাদের দাবি, এই পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার উদ্যোগ নিক। কারণ, যেভাবে কাগজ শিল্পের প্রতি ধাপে খরচ বেড়ে চলেছে, তার ভার শেষ পর্যন্ত এসে পড়ছে কাগজের বাক্স শিল্পের উপরই। যেহেতু পণ্য প্যকেজিংয়ের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে হয়, তাই সেই কাজ রীতিমতো চ্যালেঞ্জে ফেলছে এই শিল্পকে। টান পড়ছে মূলধনেও। আগে যেখানে কাগজকলগুলি কয়লা কেনার সময় ৯০ দিনের ধারের সুবিধা পেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই কাগজকলগুলিও বাক্স শিল্পকে কোনও ধার দিতে চাইছে না বলে কথা উঠেছে। যেহেতু এই শিল্প প্লাস্টিকের বদলে পরিবেশবান্ধব প্যাকেজের জোগান দেয়, তাই সরকারের তরফে ইনসেন্টিভ দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন শিল্পকর্তারা। কাগজের বাক্সের দাম বেড়ে যাওয়ার অর্থ, পণ্যের প্যাকেজিংয়ের খরচও বেড়ে যাওয়া। তাই পরোক্ষভাবে হলেও সাধারণ মানুষকেই সেই দাম চোকাতে হবে বলে জানিয়েছেন এই শিল্পের কর্তারা। তাই এই সঙ্কট থেকে রেহাই চান বাক্স শিল্পে সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা।