নতুন কর্মপ্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন দাম্পত্যজীবনে সখ্যতা বৃদ্ধি সন্তানের কর্ম সাফল্যে গর্ব। ... বিশদ
ঘরের মাঠে জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। তাই আক্রমণাত্মক ফর্মেশনে দল সাজান কোচ হোসে মোলিনা। রাইট উইং-ব্যাকে আশিস রাই আর মাঝমাঠে গ্রেগ স্টুয়ার্টকে প্রথম এগারোয় রাখেন স্প্যানিশ কোচ। তবে চোট কাটিয়ে দলে ফেরা স্কটিশ মিডিও শুরুতে কিছুটা গুটিয়ে থাকেন। ফলে মোহন বাগান মাঝমাঠের ঠাস বুনোট ধাক্কা খায়। সেই সুযোগেই বেশ দাপিয়ে বেড়ালেন হুগো বোমাস। এরই মধ্যে ১৬ মিনিটে সুবিধাজনক অবস্থায় বল পেয়েও অমরিন্দরের হাতে মারেন মনবীর। ২৮ মিনিটে স্টুয়ার্টের ওভারহেড পাস ধরে বিপক্ষ বক্সে ঢুকে পড়েন ম্যাকলারেন। এক্ষেত্রে দীর্ঘদেহী মোর্তাদা ফলকে টপকাতে ব্যর্থ ম্যাকা। বিরতির আগেও লক্ষ্যভেদের সুবর্ণ সুযোগ পায় মোহন বাগান। স্টুয়ার্টের গ্রাউন্ডার কোনওরকমে বাঁচান অমরিন্দর। ফিরতি বলের জন্য ওত পেতে ছিলেন ম্যাকা। ছিলে ছেঁড়া ধনুকের মতো ছিটকে আসেন তিনি। কিন্তু অজি তারকার টোকা অনবদ্য রিফ্লেক্সে সেভ করেন পাঞ্জাবি গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধে জড়তা কাটিয়ে ক্রমশ চেনা ছন্দে ধরা দেন স্টুয়ার্ট। তাঁর নড়াচড়াতেও তাগিদ ছিল স্পষ্ট। ৫৪ মিনিটে শুভাশিসের সেন্টারে নেওয়া মনবীরের হেড বাইরে যায়। এর ছ’মিনিট পরেই সহজতম সুযোগ নষ্ট সেই মনবীরের। অন্যদিকে, বোমাসের ফ্রি-কিক থেকে ফলের হেড রুখে দেন বিশাল। স্টুয়ার্টের কর্নার থেকে ছিটকে আসা বল বাইরে মারেন আলড্রেড। এই পর্বে আহমেদ জাহুহীন ওড়িশাকে কিছুটা দিশাহারা দেখায়। শেষ ১৫ মিনিটে পেত্রাতোস, দীপ্যেন্দু ও অনিরুদ্ধ থাপাকে নামিয়ে চূড়ান্ত আক্রমণের স্ট্র্যাটেজি নিলেন মোলিনা। আপফ্রন্টে চার বিদেশি আসতেই প্রবল চাপে পড়ে ওড়িশা। ঢেউয়ের মতো আক্রমণে থরথরিয়ে কাঁপল লোবেরার দুর্গ। গোল নষ্টের প্রদর্শনীর মাঝে ম্যাকাকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখলেন মোর্তাদা ফল। এটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। দীর্ঘদেহী সেনেগালের এই ডিফেন্ডার মাঠ ছাড়তেই ওড়িশা রক্ষণের ডেড-লক খুলে যায়। সংযোজিত সময়ে এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে জাল কাঁপালেন পেত্রাতোস (১-০)। গতবার লিগ শিল্ড জয়ের ম্যাচে দুটো অ্যাসিস্ট ছিল তাঁর। এবারও মোক্ষম সময়ে জ্বলে উঠলেন দিমি। এরপরেই হাজার হাজার মোবাইলের আলোয় উদ্ভাসিত যুবভারতী। শিল্ডের পাশাপাশি এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টিকিট নিশ্চিত হওয়ার খুশিতে ভিআইপি বক্সে মুচকি হাসছেন কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। মোহন বাগানের সঞ্জীবনী সুধা তিনি। তাঁর দলও যথার্থই সুপার জায়ান্ট।
মোহন বাগান: বিশাল, আশিস (দীপ্যেন্দু), আলবার্তো, আলড্রেড (পেত্রাতোস), শুভাশিস, আপুইয়া, টাংরি (অনিরুদ্ধ), মনবীর, লিস্টন (আশিক), স্টুয়ার্ট (কামিংস) ও ম্যাকলারেন।