নতুন কর্মপ্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন দাম্পত্যজীবনে সখ্যতা বৃদ্ধি সন্তানের কর্ম সাফল্যে গর্ব। ... বিশদ
ক্রিকেট কখনও কখনও যেমন নিঃস্ব-রিক্ত করে, তেমনই দুকুল ছাপিয়ে উজাড় করেও দেয়। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে পরাজিত অধিনায়ক কোহলির এই অপরাজিত ১০০ ঠিক যেন তাই। সেদিনের যন্ত্রণায় যা প্রলেপ হয়ে উঠল। সাতটি চারে সাজানো কেরিয়ারের ৫১তম শতরানে ঘোষিত চেজমাস্টারের মেজাজে ফেরার বার্তাও। রাজকীয় কভার ড্রাইভ, আগ্রাসী হুক, শাহিন আফ্রিদিকে এগিয়ে এসে বাউন্ডারি হাঁকালেন অনায়াসে। এমনকী উত্তজনার পারদ চড়িয়ে তিন অঙ্কের রানে পৌঁছনোর দৃশ্যেও ভিন্টেজ কোহলির প্রত্যাবর্তনই প্রতিফলিত। দায়িত্ব নিয়ে দলকে জয়ের স্টেশনে পৌঁছে দেওয়া এই বিরাটই যে উধাও ছিলেন এতদিন। চেনা ছন্দে ফেরার পথে গড়লেন রকমারি রেকর্ড। হ্যারিস রউফকে কভারে পাঞ্চ মেরে এই ফরম্যাটে দ্রুততম ১৪ হাজার রানের মাইলস্টোনে পৌঁছনোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোট রানের নিরিখে রিকি পন্টিংকেও (২৭,৪৮৩) টপকে গেলেন তিনি। স্নায়ুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শতরানে পৌঁছনোর পর উঁচিয়ে তোলা ব্যাটে থাকল একরাশ স্বস্তি।
আড়াইশোর কম রানের টার্গেট যতই স্বস্তির হোক, এই ম্যাচের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে সীমান্তে গোলাগুলির রক্তাক্ত ইতিহাস। পঞ্চাশের দোরগোড়া থেকে গিলকে অনবদ্য ডেলিভারিতে ফিরিয়ে ভ্রুয়ের ভঙ্গিতে ‘সেন্ড-অফ’ জানিয়েছিলেন আব্রার আহমেদ। সেটাই সম্ভবত খুঁচিয়ে দিয়েছিল কোহলির চ্যাম্পিয়নসুলভ ইগোকে। শ্রেয়স আয়ারের সঙ্গে এরপর তৃতীয় উইকেটে ১১৪ রান যোগ করলেন তিনি। বড় আসরে টেনশনের ম্যাচে দলকে জেতানোর ক্ষমতা এখনও হারাননি, দেখালেন আরও একবার। ‘কিং ইজ ব্যাক’ ছাড়া আর কী! হাফ-সেঞ্চুরিতে যোগ্য সঙ্গত করলেন শ্রেয়সও। রান তাড়ার শেষদিকে অবশ্য একটাই আগ্রহ ছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের। কোহলির শতরান হচ্ছে তো!
আসলে ইমরান, মিয়াঁদাদ, আক্রমদের দলের ছায়াও নয় এই পাকিস্তান। তাই হারার অনেক আগেই হেরে বসেছিল তারা। টসভাগ্য অবশ্য এই ম্যাচেও রোহিতের সঙ্গে ছিল না। আবার মহম্মদ সামির প্রথম ওভারই ছিল ১১ বলের। তার মধ্যে পাঁচটিই ওয়াইড। কিন্তু ডটবলের গেরো থেকে এই ম্যাচেও বেরতে পারেনি সবুজ জার্সিধারীরা। মোট তিনশো বলের ইনিংসে ১৪৭টি ডটবল খেলেছে রিজওয়ান ব্রিগেড! বাবর আজম অবশ্য শুরুটা করেছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজেই। কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়াকে খোঁচা দিয়ে ফেরেন তিনি। অহেতুক রান আউট হন ইমাম উল হক। তৃতীয় উইকেটে ১০৪ রানের জুটিতে সাউদ শকিল ও রিজওয়ান অবশ্য লড়াকু স্কোরের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। কিন্তু রিজওয়ানকে বোল্ড করে মোক্ষম আঘাত হানেন অক্ষর প্যাটেল। এরপর পাক ইনিংসের একমাত্র অর্ধশতরানকারী শকিলকে ফেরান হার্দিক। সামির অফ-ফর্ম ঢেকে দিলেন তিনি। বাকিটা কুলদীপ যাদব শো। তিন উইকেট নিয়ে তিনিই সফলতম বোলার।