সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
মোহন সচিবের মন্তব্য শুনেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন ইস্ট বেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। তাঁর বক্তব্য, ‘আমরা যেচে আইএসএল খেলতে যাইনি। মোহন বাগানের বর্তমান সচিবই তো আমাদের দরজায় আসেন। ওঁর কাতর অনুরোধ ছিল, ইস্ট বেঙ্গল ও মোহন বাগান ছাড়া আইএসএল বাঁচবে না। তাই আমাদের খেলা উচিত। হিম্মত থাকলে, যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে আইএসএলে যোগ দেওয়া নিয়ে প্রকাশ্যে বলুন। আসলে নিজেদের ক্লাব ওঁরা বিক্রি করে দিয়েছে। অন্য একটি ক্লাবের শরণাপন্ন হয়ে অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখার লড়াই চলছে।’
এদিকে, ইস্ট বেঙ্গলের নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিয়েও তীব্র চাঞ্চল্য। কর্তাদের দাবি, তাঁরা বঞ্চনার শিকার। গোটা ঘটনা জানানো হবে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীকে। সাংবাদিক সম্মেলনে আইএসএলের বেশ কিছু বিতর্কিত মুহূর্তের ভিডিও ফুটেজ তুলে ধরা হয়। শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সচিব রূপক সাহা ও ফুটবল সচিব সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়। লাল-হলুদ সচিব জানান, ‘প্রতিবাদ আমাদের রক্তে। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শেষদিন পর্যন্ত লড়াই চলবে। শীঘ্রই কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভারতীয় ফুটবলের বর্তমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে তাঁর হস্তক্ষেপের দাবি জানাব।’ একইসঙ্গে এআইএফএফ’কে এক হাত নিয়েছে লাল-হলুদ শিবির। সচিবের দাবি, ‘‘ফেডারেশন অযোগ্য। দেশের সেরা লিগ একটি প্রাইভেট কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। সেখানে তারা শুধুমাত্র ধনী আর ক্ষমতাশীল বন্ধুদের পছন্দ-অপছন্দ ও সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। রেফারি সংস্থার প্রধানের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। সোমবার হঠাৎ ডার্বির হ্যান্ডবল নিয়ে বলতে গেলেন! ওঁর কাছে তো কেউ জানতে চায়নি। আসলে এখন ‘ঠাকুর ঘরে কে, আমি তো কলা খাইনি’ অবস্থা।’’
মঙ্গলবার ইস্ট বেঙ্গল অনুশীলনে নামলেন নয়া বিদেশি রিচার্ড সেলিস। আইএসএলে পরের ম্যাচে রবিবার লাল-হলুদ ব্রিগেডের প্রতিপক্ষ এফসি গোয়া। চোটের কারণে এই ম্যাচেও অনিশ্চিত আনোয়ার আলি। পাশাপাশি কার্ড সমস্যায় নেই শৌভিক চক্রবর্তী। তাই মাঝমাঠে নতুন করে সংগঠন করতে হবে কোচ অস্কারকে।