সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
সদ্য ডনের দেশে টেস্ট সিরিজে পর্যুদস্ত হয়েছে ভারত। জঘন্য পারফরম্যান্স প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছে রোহিতের সঙ্গে বিরাট কোহলির ভবিষ্যৎ নিয়েও। পাঁচ টেস্টে মাত্র ১৯০ রান করেছেন ভিকে। এবং আটটি আউটই হয়েছেন একইভাবে, অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে। রোহিতের দশা অবশ্য আরও খারাপ। তিন টেস্টে তাঁর সংগ্রহ মোটে ৩১। এই পরিস্থিতিতে ৩৭ বছর বয়সির কেরিয়ারের স্থায়িত্ব নিয়ে চলছে চর্চা। তিনি নিজে যদিও হাল ছেড়ে দেননি। তবে টেস্টে তাঁর রান না পাওয়ার কাহিনি মোটেই সাম্প্রতিক নয়। ২০২৩-২৪ মরশুমে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দশ ইনিংসে তাঁর গড় মোটে ১৩.৩০! অধিনায়ক হিসেবেও সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছে রোহিতের। ঘরের মাঠে কিউয়িদের কাছে ০-৩ হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে। কোনও ভারতীয় অধিনায়ক দেশে এমন লজ্জাজনকভাবে হারেননি। অস্ট্রেলিয়াতেও একেবারে সাদামাটা দেখিয়েছে তাঁর নেতৃত্বকে। পাশাপাশি, ব্যাট হাতে অসহায়তা দলে তাঁর জায়গাকেই অনিশ্চিত করে তুলেছে।
স্বয়ং তিনি নাকি এখনই নেতৃত্ব ছাড়তে নারাজ। বোর্ড কর্তাদের কাছে আরও কয়েক মাস দায়িত্বে থাকার আর্জি জানিয়েছেন রোহিত। কিন্তু তারপরও জুন-জুলাইয়ের ইংল্যান্ড সফরে তিনি অনিশ্চিত। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রান না পেলে পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাট থেকেও পাততাড়ি গুটোতে হবে। কেরিয়ারের এমন সন্ধিক্ষণে তাই রনজি দলের সঙ্গে রোহিতের প্র্যাকটিসে নেমে পড়া অর্থবহ।
টিম ইন্ডিয়ার কোচ গৌতম গম্ভীর অবশ্য বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি খোয়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই ঘরোয়া ক্রিকেটে সবার অংশগ্রহণ জরুরি বলে জানান। সেই সুরেই মন্তব্য করতে শোনা যায় কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকর থেকে শুরু করে অনেক প্রাক্তনকেই। অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ হারের পরিপ্রেক্ষিতে ক্রিকেটারদের কড়া বার্তা দিয়েছে বোর্ডও। কোচ গম্ভীর, নির্বাচকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান আগরকরের উপস্থিতিতে বোর্ডের মনোভাবের আঁচ পেয়েছেন রোহিত। সেজন্যই তড়িঘড়ি করে তিনি নেমে পড়েছেন মুম্বইয়ের নেটে।
কর্ণাটকের বিরুদ্ধে পাঞ্জাবের হয়ে রনজির ম্যাচে শুভমান গিল অবশ্য খেলছেনই। অস্ট্রেলিয়ায় তিন টেস্টে মাত্র ৯৩ রান করেছেন তিনি। গড় কুড়িরও নীচে। রানে ফিরতে রনজির উপরেই আস্থা রাখছেন গিল। নীতীশ রেড্ডিকেও সম্ভবত দেখা যাবে হায়দরাবাদের হয়ে। আর মুম্বইয়ের হয়ে খেলবেন যশস্বী জয়সওয়াল।
এরমধ্যে দিল্লি রনজির প্রাথমিক দলে রেখেছে দুই তারকা— বিরাট কোহলি ও ঋষভ পন্থকে। কোহলি শেষবার রনজি খেলেছেন ২০১২ সালে। পন্থের ক্ষেত্রে সালটা ২০১৭। সম্প্রতি ডিডিসিএ সচিব অশোক শর্মা মন্তব্য করেছেন যে কোহলির উচিত দিল্লির হয়ে রনজিতে নামা। এক্ষেত্রে মুম্বইয়ের তারকাদের থেকে অনুপ্রাণিত হওয়া দরকার বলেও খোঁচা দেন তিনি। এখন রোহিতের পথে কোহলি চলেন কিনা, সেটাই দেখার।