উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
হ্যাজলউডের বল ফ্লিক করে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ভারতীয় ব্যাটার। আত্মবিশ্বাসী বিরাট এরপর আরও ঝকঝকে। ধৈর্য হারিয়ে উইকেট ছুড়ে দেওয়ার বদলে অনন্ত মনঃসংযোগের প্রতিমূর্তি। নব্বই রান পেরোতেই কাউন্টডাউন শুরু। এলেন লাবুশানে। ফ্লাইটের টোপ দিয়ে বিরাটকে লোভনীয় অফার দেওয়ার চেষ্টাও এদিন বৃথা। চাপ বাড়াতে রাউন্ড দ্য উইকেট বোলিং শুরু করলেন অজি ক্রিকেটার। বিরাটের সুইপ শরীর ছুড়েও রুখতে পারলেন না হেড। বল আদৌ বাউন্ডারি টপকাল কি? টেলিভিশন ক্যামেরার ক্লোজে দ্বিধাগ্রস্ত বিরাটের মুখ। আম্পায়ার গ্রিন সিগন্যাল দিতেই একরাশ স্বস্তি। বিরাট যেন যুদ্ধে জেতা সেনাপতি। হাতের ব্যাট খাপখোলা তরবারি। এরপর গ্যালারিতে স্ত্রী অনুষ্কার দিকে ফ্লাইং কিস ছুড়লেন কিং কোহলি। একই মেজাজে দেখা গিয়েছিল দশ বছর আগেও।
খারাপ সময়ে মানসিক যন্ত্রণা কুরে কুরে খেয়েছে বিরাটকে। শাপমুক্তির দিনে কোহলির মন্তব্য, ‘ব্যাটে রান পাচ্ছিলাম না। কঠিন সময়ে যাবতীয় লড়াইয়ের সাক্ষী অনুষ্কা।’ সত্যিই তাই। ঘরের মাঠে কিউয়িদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই পারেননি। সোশ্যাল সাইট জুড়ে কুৎসিত ট্রোলিং। নিরন্তর সমালোচনার ঢেউ-এবার অবসর নিন বিরাট। এমন মুহূর্তেই জ্বলে উঠলেন তারকা ক্রিকেটার। অপরাজিত ১০০ রান গুরুত্ব আর পরিস্থিতির বিচারে আসলে দশগুণ। অনবদ্য ইনিংস ৮ টি চার ও বিশাল দুটো ছক্কায় সাজানো। রকমারি স্ট্রোক দেখে মুগ্ধ বিশেষজ্ঞরা। এরই অপেক্ষায় ছিল টিম ইন্ডিয়া। অধিনায়ক বুমরাহ সহ গোটা দলের মধ্যে দেখা গিয়েছে স্বতস্ফূর্ত আবেগ। এমনকী ড্রেসিং-রুমের দরজায় বিরাটকে জড়িয়ে ধরেন গম্ভীরও। বহুচর্চিত ঠান্ডা লড়াইয়ের চিহ্ণমাত্র নেই।
৩০তম টেস্ট শতরান অনেক কিছুর জবাব। কিংবদন্তি স্যর ডনের ২৯ টি শতরানের মাইলস্টোন এদিনই টপকে গেলেন বিরাট। ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির দখল ছিল শচীন তেন্ডুলকরের (৬টি) ঝুলিতে। ক্যাঙারুর দেশে বিরাটের টেস্ট শতরানের সংখ্যা এখন ৭। শুধু তাই নয়, ক্রিকেটের সব ফরম্যাট মিলিয়ে ৮১ তম সেঞ্চুরি। ‘ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, ক্লাস ইজ পার্মামেন্ট।’ সেই প্রবাদ কতটা খাঁটি আবারও দেখলেন বিরাট।