সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
প্রথমবার আইএসএল খেলবে মহমেডান স্পোর্টিং। দেশের এক নম্বর টুর্নামেন্টে নামার আগে সবচেয়ে জরুরি হোমওয়ার্ক। ভারতীয় ফুটবলে অন্যতম সেরা দুই দল মোহন বাগান আর মুম্বই সিটি। হাই-ভোল্টেজ ম্যাচ তাই মিস করতে চাইনি। অনেকেই প্রশ্ন করছেন, কেমন খেলল পালতোলা নৌকা?প্রাক্তন ফুটবলার হিসেবে আমার ব্যাখ্যা, মোহন বাগান এখনও শেপে আসেনি। বিশেষ করে অজি ফুটবলার দিমিত্রি পেত্রাতোস একেবারেই আনফিট। গত মরশুমে হাবাস ব্রিগেডের সাফল্যের নেপথ্যে ওর অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু এবার সেই ঝাঁঝ দেখতে পাচ্ছি না। আপফ্রন্টে তিন বিদেশির কম্বিনেশন এখনও জমে ওঠেনি। পাশাপাশি মাঝমাঠে ডিফেন্সিভ ব্লকারের অভাব রয়েছে। হাবাস জমানায় জনি কাউকো ট্যাঙ্কের মতো চষে ফেলত মাঝমাঠ। তিনি না থাকায় মিডল করিডরে স্পেস তৈরি হচ্ছে। গ্রেগ স্টুয়ার্ট প্লে-মেকার। কোনওমতেই ব্লকার নয়। আপুইয়া বা অভিষেকের ঘাড়ে পাহাড়প্রমাণ প্রত্যাশার চাপ। আরও দায়িত্ব নিতে হবে ওদের।
মরশুমের শুরু থেকেই সমালোচনার কেন্দ্রে মোহন বাগানের দুর্বল রক্ষণ। বড় দল বারবার লিড নিয়েও ম্যাচ হাতছাড়া করলে সমর্থকদের হতাশা স্বাভাবিক। হোসে মোলিনা দলের কোচ। এই রোগের টোটকা তাঁকেই বার করতে হবে। ডুরান্ড কাপ ফাইনালে আলবার্তো চোট পেয়ে বেরিয়ে যেতেই কেঁপে যায় রক্ষণ। আইএসএলে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেও একই চিত্র। বৃষ্টিভেজা মাঠে বারবার একই সমস্যা হলে প্রশ্ন উঠবেই। আলবার্তো কী পুরো ফিট? তা টিম ম্যানেজমেন্ট ভালো বলতে পারবে। তবে মোহন বাগান ওজনদার টিম। একটা জয় পরিস্থিতি পাল্টে দেবে। আমার বিশ্বাস, তারকারা ছন্দে ফিরলে সেই দিন আর বেশি দূরে নয়।