আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
হার্দিক পান্ডিয়ার হাফ-সেঞ্চুরি। বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্থ ও শিবম দুবের থার্টি প্লাস স্কোরের পর বল হাতে কুলদীপ যাদব, যশপ্রীত বুমরাহরাও দাগ কাটলেন। দলগত প্রচেষ্টাতেই শনিবার বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিল টিম ইন্ডিয়া। এদিন নজির গড়েছেন বিরাটও। বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসি বিশ্বকাপে (ওডিআই ও টি-২০ মিলিয়ে) তিন হাজার রান পূর্ণ করলেন ভিকে। পাশাপাশি মিডল অর্ডারে ভরসা জুগিয়েছেন শিবম দুবেও। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে নিশ্চিতভাবে তা আত্মবিশ্বাস বাড়াবে রোহিত-ব্রিগেডের।
১৯৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লে’তে এক উইকেটের বিনিময়ে তাদের সংগ্রহ ৪২ রান। ওপেনার লিটন দাসকে (১৩) ফেরান হার্দিক। এরপর ১১ ওভারে টাইগার-ব্রিগেডের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৭৬। ক্যাপ্টেন নাজমুল হাসান শান্ত জয়ের আশা জিইয়ে রেখেছিলেন। তবে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করতে ব্যর্থ তৌহিদ হৃদয় (৪), সাকিব আল হাসান (১১), মাহমুদুল্লাহরা (১৩)। প্রশংসা করতে হবে কুলদীপ যাদবেরও। মিডল অর্ডারে প্রতিপক্ষ শিবিরে একের পর এক আঘাত হেনে ভারতের জয়ের পথ প্রশস্ত করেন তিনি। এদিন ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে তিনটি উইকেট তুলে নেন তারকা স্পিনার। আর যশপ্রীত বুমরাহ ক্যাপ্টেন নাজমুলকে (৪০) ফেরাতেই ভারতের জয় কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়। চার ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে দু’টি উইকেট নিয়েছেন বুমবুম।
তার আগে টস জিতে ফিল্ডিং নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ভারতের ওপেনিং জুটি নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। বিরাট কোহলি গ্রুপ পর্বে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছিলেন। রোহিত শর্মাও প্রথম ম্যাচে পঞ্চাশ করার পর আর বড় রান পাননি। কিন্তু ভারতীয় দল যথারীতি এই তারকা জুটিতেই আস্থা রেখেছিল। দু’জনেই এদিন আগ্রাসী মেজাজে শুরু করেন। ৩.৪ ওভারে উঠে যায় ৩৯ রান। সাকিব আল হাসানকে ছয় মারতে গিয়ে লোপ্পা ক্যাচ তুলে ফেরেন রোহিত। ১১ বলে তাঁর ২৩ রানে ছিল তিনটি চার ও একটি ছয়। বিরাটকে আবার বড় রানের জন্য বদ্ধপরিকর মনে হচ্ছিল। তবে সেট হয়েও এদিন ইনিংস লম্বা করতে পারলেন না ভিকে। ২৮ বলে ৩৭ রানে তানজিম হাসান সাকিবের বলে বোল্ড হলেন তিনি। তাঁর ইনিংসে ছিল তিনটি ছক্কা ও একটি চার।
মন্থর আউটফিল্ড। ফলে তুলে মারাই ছিল বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু ঋষভ অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হতে গিয়ে নিজের পায়েই কুড়ুল মারলেন। এই প্রতিযোগিতায় আগেও একবার রিভার্স সুইপ মারতে গিয়ে আউট হয়েছিলেন কিপার ব্যাটসম্যান। এদিনও একই ভুলে তুললেন সহজ ক্যাচ। ২৪ বলে তাঁর ৩৬ রানের ইনিংসে থাকল চারটি চার ও দুটো ছয়। শিবমকে নিয়েও হালফিল কম চর্চা হয়নি। রিঙ্কু সিংকে স্কোয়াডে নেওয়া উচিত ছিল বলে সওয়াল করে চলছেন অনেকেই। সঞ্জু স্যামসনের ডাগ আউটে বসে থাকাও মানতে পারছেন না কেউ কেউ। এদিন অবশ্য শিবম পরিণত মানসিকতার পরিচয় রাখলেন। ২৪ বলে ৩৪ রানের ইনিংসে তিনটি ছক্কা নিশ্চিতভাবেই তাঁর উপর থেকে কিছুটা চাপ কমাবে। হার্দিক আবার বোঝালেন তাঁর গুরুত্ব। চারটি চার ও তিনটি ছয়ে সাজালেন অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংস।