আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
ইউরোর গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে কোনওক্রমে জয় দিয়ে মাঠ ছাড়ে ফরাসি ব্রিগেড। প্রতিপক্ষ ফুটবলারের আত্মঘাতী গোলে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেন কান্তে-গ্রিজম্যানরা। জিতলেও ফ্রান্সের খেলা অনুরাগীদের মন ভরাতে পারেনি। তারউপর ম্যাচের শেষলগ্নে এমবাপের চোট চিন্তা বাড়িয়েছিল কোচ দেশঁর। চোট এতটাই গুরুতর যে একটা সময় ফরাসি তারকার বাকি টুর্নামেন্টে খেলা নিয়ে দেখা দেয় প্রশ্নচিহ্ন। তবে কিছুটা ঝুঁকি নিয়েও অস্ত্রোপচারের পথে না হেঁটে খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এমবাপে। তবে মাঠে নামার জন্য বিশেষ মাস্ক ব্যবহার করতে হবে তাঁকে। উল্লেখ্য, ইউরোর বাছাই পর্বে দু’টি ম্যাচেই ডাচদের বিরুদ্ধে জোড়া গোল রয়েছে এমবাপের। কোচ দেশঁ অবশ্য দলের সেরা অস্ত্রকে নিয়ে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘এমবাপে দলের সেরা অস্ত্র। তাই ওকে আগলে রাখা আমার কর্তব্য। গত ম্যাচের চোটের পর কিছুটা হলেও ভয় পেয়েছিলাম। তবে এখন ও অনেকটাই সুস্থ। ডাক্তারের পরামর্শ মেনেই আমরা এগব।’ শুক্রবার সম্ভবত এমবাপেকে বেঞ্চে রেখেই দল সাজাতে পারেন দেশঁ। সেক্ষেত্রে প্রথম একাদশে ফিরতে পারেন বর্ষীয়ান অলিভার জিরু।
গত কয়েক বছরে মুখোমুখি সাক্ষাতে নেদারল্যান্ডসকে বারবার টেক্কা দিয়েছে ২০১৮ বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। শেষ ছ’বারের মধ্যে পাঁচবার শেষ হাসি হেসেছে দেশঁ ব্রিগেড। শুক্রবার ইউরোর গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে তাই কিছুটা হলেও এগিয়ে ফ্রান্স। তবে রোনাল্ড কোম্যানের প্রশিক্ষণে এবারের ইউরোতে ভালো কিছু করতে মরিয়া ডাচ-ব্রিগেড। প্রথম ম্যাচে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও ২-১ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। তবে দলের সার্বিক পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন কোচ কোম্যান। বিশেষত সুযোগ কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে আরও বেশি নিখুঁত হতে হবে বলেই মত তাঁর। শক্তিশালী ফ্রান্সের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার আগে ডাচ কোচ জানান, ‘গত ম্যাচে আমাদের ৪-১ ব্যবধানে জেতা উচিত ছিল। বেশ কিছু সহজ সুযোগ নষ্ট করেছি। তবে পিছিয়ে পড়েও ছেলেরা যেভাবে লড়াইয়ে ফিরেছে তাতে আমি সন্তুষ্ট। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে গত কয়েকটি ম্যাচে আমরা ভালো খেলতে পারিনি। তবে যে কোনও প্রতিপক্ষকে টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের রয়েছে।’ উল্লেখ্য, গত ম্যাচে অস্ট্রিয়ার ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ ফুটবলের সামনে বেশ বেসামাল দেখায় গ্রিজম্যানদের। তাই প্রতিপক্ষকে টেক্কা দিতে ডাচ কোচ কোম্যানও সেই পন্থাই অবলম্বন করতে পারেন।