আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
রোহিতরা শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন ১২ জুন আমেরিকার বিরুদ্ধে। পরের ম্যাচ ছিল ১৫ জুন। কানাডার বিরুদ্ধে খেলাটি ভেস্তে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। তারপর কেটে গিয়েছে সাত দিন। বড় টুর্নামেন্টে এই বিশ্রাম একদিক থেকে অবশ্য ভালোই। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে তা নেতিবাচক প্রভাবও ফেলে। কারণ, দীর্ঘ সময় ম্যাচ না খেলার ফলে ছন্দ হারানোর আশঙ্কা থাকে। তার উপর চলতি আসরে বিরাট কোহলি একেবারেই ফর্মে নেই। গ্রুপ পর্বে তিন ইনিংসে তাঁর সংগ্রহ ১, ৪, ০। নামের সঙ্গে যা একেবারে বেমানান। আশা করা হচ্ছে, সুপার এইটে চেনা মেজাজে দেখা যাবে কোহলিকে। তিনি বড় মঞ্চের নায়ক। দলকে পরের রাউন্ডে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারেন। তাই আফগানদের বিরুদ্ধে কোহলির উপর থাকবে বাড়তি ফোকাস। তিনি ব্যর্থ হলে সমালোচনা তীব্র হবে। সমস্যা বাড়বে টিম ইন্ডিয়ারও। কারণ, এর পর রয়েছে বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ। তাই গত কয়েকদিন অনুশীলনে নিজেকে নিংড়ে দিয়েছেন ভিকে। ভুলত্রুটি শুধরে রানে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা ধরা পড়েছে নেটে তাঁর ঘাম ঝরানোর মধ্যে।
নিউ ইয়র্কের নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছিল। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে তেমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে ব্রিজটাউনের পিচে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন। সেটা বুঝেই অনুশীলনে স্পিনারদের পিছনে বেশি সময় ব্যয় করেছেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। মনে করা হচ্ছে, কুলদীপ যাদবকে খেলানো হবে। সেক্ষেত্রে অর্শদীপ সিং বা মহম্মদ সিরাজের মধ্যে কোনও একজন বাদ পড়বেন। গ্রুপ পর্বে অবশ্য দুই স্পিনার দলে রেখেছিল ভারত। অক্ষর প্যাটেল অলরাউন্ড পারফরম্যান্স মেলে ধরেছিলেন। কিন্তু জাদেজার খেলায় তেমন ঝাঁঝ দেখা যায়নি। সেটা যথেষ্টই চিন্তার বিষয়। ব্যাট হাতে ভারতকে স্বস্তি দিচ্ছেন ঋষভ পন্থ। রানে ফিরেছেন সূর্যকুমার যাদবও। সেই সঙ্গে রোহিত এবং কোহলি যদি শুরুটা ভালো করেন, তাহলে ঝলমলে লাগবে টিম ইন্ডিয়াকে। পেস অলরাউন্ডার হিসেবে হার্দিক পান্ডিয়াও আস্থা অর্জনে সফল।
আফগানিস্তানের ব্যাটিং ও বোলিংয়ে যথেষ্ট ভারসাম্য রয়েছে। ওপেনার গুরবাজ ও স্পিনার রশিদ খান এই ম্যাচে থাকবেন আকর্ষণের কেন্দ্রে। এছাড়া নবীন উল হক, ফজলহক ফারুকির মতো পেসাররা বিপাকে ফেলতে পারেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। যা ভাবাচ্ছে দুই শিবিরকেই।