আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
মহারণে এগিয়ে কারা? পরিসংখ্যান বলছে, নেশনস লিগে শেষ দু’টি সাক্ষাতেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে স্প্যানিশ আর্মাডা। পেড্রি, রড্রিরা ইতালির বিরুদ্ধে জয়ের হ্যাটট্রিক করতে মরিয়া। ফুয়েন্তের স্কোয়াডের মূল শক্তি অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেল। ট্রেডমার্ক পাসিং ফুটবলে প্রথমার্ধেই ক্রোটদের বশ মানান ড্যানি কার্ভাহাল, রুইজরা। আপফ্রন্টে অভিজ্ঞ মোরাতার সঙ্গে লামিনে ইয়ামাল ও নিকো উইলিয়ামসকে খেলাচ্ছেন স্প্যানিশ হেডমাস্টার। ৪-৩-৩ ফর্মেশনে ক্রমাগত শাফল করে প্রতিপক্ষকে ধাঁধায় ফেলছেন তাঁরা। বল পজেশন বজায় রেখে প্রতিপক্ষকে হতোদ্যম করে দেওয়ার স্ট্র্যাটেজি প্রথম ম্যাচে সুপারহিট। ইতালির বিরুদ্ধে পাসিং ফুটবলের চেনা ফর্মুলার অগ্নিপরীক্ষা।
ইতালির ফুটবল ঘরানাও আগের চেয়ে অনেকটাই বদলেছে। রক্ষণে তালা দেওয়া কাতানেচ্চিও সিস্টেম শিকেয় তুলে আক্রমণাত্মক ফুটবলে বিপক্ষের চোখ ধাঁধিয়ে দেন রবার্তো মানচিনি। বর্তমান কোচ স্পালেত্তিও একই নৌকার যাত্রী। কানাভারো, মালদিনিদের ব্যাটন এখন চিয়েসা, জর্জিনহোদের হাতে। মূলত ৪-৩-৩ ফর্মেশনে দল সাজান তিনি। দুটো উইং কাজে লাগিয়ে বিপক্ষ রক্ষণে চাপ বজায় রাখতে মরিয়া স্পালেত্তি। চিয়েসা, ডিমার্কোরা বিপক্ষের পেনিট্রেটিভ জোনে খুবই ভয়ঙ্কর। মাঝমাঠও অনেক জমাট।
বৃহস্পতিবারের মহারণে এগিয়ে কোন দেশ? জোর চর্চা, মাঝমাঠের লড়াই মুখ্য ভূমিকা নিতে পারে। মাঝমাঠে পাসিং ফুটবলের ঠাসবুনোটে ক্রোটদের গিলে ফেলে স্পেন। তাদের মাঝমাঠের ইঞ্জিন লুকা মডরিচও গোলকধাঁধায় পথ হারান। ইতালির বিরুদ্ধে এত ওপেন স্পেস কোনওমতেই পাবেন না তাঁরা। বরং রড্রিদের জন্য ধেয়ে আসবে কড়া ট্যাকল। স্পেনের আক্রমণাত্মক স্ট্র্যাটেজির মোকাবিলা করতে ইতালির ভরসা ঝোড়ো প্রতি-আক্রমণ। স্পেনের দুই উইং-হাফ কার্ভাহাল ও মার্ক কুকুরেল্লা ক্রমাগত ওভারল্যাপে এসে আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ান। ফাঁকা জায়গা কাজে লাগিয়ে স্প্যানিশ আর্মাডার সলিলসমাধি ঘটাতে তৈরি ইতালি। তবে স্পালেত্তির রক্ষণেও ফাটল রয়েছে। তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে আলবেনিয়া। মোরাতাদের বিরুদ্ধে ভুলের পুনরাবৃত্তি করলে চিন্তা বাড়বে আজ্জুরিদের।