গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজির দাপটে জেতায় অবদান রয়েছে গুরবাজের। কিপিং গ্লাভস হাতে তিনি নেন দুটো গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ। দেননি কোনও বাই রান। ওপেন করতে নেমেও তোলেন ঝড়। ১৪ বলে সংগ্রহ ২৩। প্রথম উইকেটে সুনীল নারিনের সঙ্গে জুটিতে ৩.২ ওভারেই ওঠে ৪৪। কিপার ও ব্যাটার, কোনও ভূমিকাতেই সল্টের অভাব টের পেতে দেননি ২২ বছর বয়সি।
ম্যাচের পর গুরবাজ বলেন, ‘একজন ক্রিকেটার হিসেবে কী করণীয়, তা জানা দরকার। লিগ পর্যায়ে যখনই সুযোগ আসুক না কেন, সেরাটা দেওয়া জরুরি। সুযোগ যদি না’ও আসে, তাহলেও নিজেকে তৈরি রাখা দরকার। যাতে সুযোগ আসা মাত্রই তা দু’হাতে আঁকড়ে ধরা যায়। আমার মা এখনও অসুস্থ। আমি আইপিএল চলাকালীনই দেশে গিয়েছিলাম। তখনই ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে ফোন আসে আমার কাছে। বলা হয়, দলের আমাকে দরকার। আমার আপডেট জানতে চাওয়া হয়। জানাই যে, আমি আসছি।’ সিদ্ধান্তটা যে সহজ ছিল না, তা মেনে নিয়েছেন তিনি। গুরবাজের কথায়, ‘হাসপাতালে এখনও রয়েছেন মা। আমি সবসময়ই ফোন করছি, কথা বলছি। তবে কলকাতা নাইট রাইডার্সও আমার পরিবার। মা ও দল, দু’দিকই দেখতে হবে আমায়। কাজটা কঠিন, খুবই কঠিন। কিন্তু কর্তব্য পালন তো করতেই হবে।’
মঙ্গলবার টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে ওঠে। কলকাতার অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার জানিয়েছিলেন যে, টস জিতলে তাঁরা ফিল্ডিংই নিতেন। এই প্রসঙ্গে গুরবাজ বলেন, ‘প্রথমে বল করতে চেয়েছিলাম। আমাদের ব্যাটিং রীতিমতো শক্তিশালী। কত রান তাড়া করতে হচ্ছে, তা জেনে ব্যাট করতে যাওয়াই ছিল লক্ষ্য। আমরা খুব ভালো বল করেছি। ওদের মতো দলকে ১৫৯ রানে থামিয়ে দেওয়া কৃতিত্বের। বোলারদের তাই প্রশংসা প্রাপ্য। ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লে’তে দাপট দেখাতে চেয়েছিলাম আমরা।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘মানসিকভাবে ইতিবাচক ছিলাম। প্রথম ৬ ওভারের মধ্যে ঝড় তুলতে চেয়েছিলাম। এমন কম স্কোরের ম্যাচে শুরুতে বেশি রান না তুললে কখনও কখনও চাপে পড়তে হয়।’
প্রথম স্পেলে ৩ উইকেট নিয়ে কমলা জার্সিধারীদের শুরুতেই ধাক্কা দিয়েছিলেন মিচেল স্টার্ক। সেটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল। বাঁ-হাতি পেসারকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন গুরবাজ, ‘অবিশ্বাস্য বল করল। ও যে বিশ্বসেরাদের অন্যতম, তা ফের প্রমাণিত। প্রচুর অভিজ্ঞতা স্টার্কের। বড় আসরে কীভাবে সেরাটা তুলে ধরতে হয়, ও জানে। অন্য ম্যাচের থেকে এদিন একেবারে আলাদা মেজাজে দেখা গেল ওকে।’ উল্লেখ্য, জয়ের সৌরভ নিয়েই বুধবার আমেদাবাদ থেকে চেন্নাইয়ের উড়ান ধরলেন শ্রেয়সরা।