বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার ওয়েবসাইটে ডি’কক বলেছেন, ‘আমার আচরণের ফলে অনেকেই আহত হয়েছেন বা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। একটা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। এই সবকিছুর জন্যই আমি দুঃখিত। তবে একই সঙ্গে আমি এটাও বলব যে, বিশ্বকাপে আমরা খেলতে নামলেই কোনও না কোনও নাটক হয়, যা অনুচিত। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমার পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি সতীর্থদের। বিশেষ করে অধিনায়ক তেম্বা বাভুমাকে। দেশের হয়ে ক্রিকেটে খেলার চেয়ে কোনও কিছু অধিক গর্বের নয়।’ সেই সঙ্গে বলেছেন, ‘হাঁটু গেড়ে বসার মাধ্যমে যদি মানুষকে সচেতন করা যায়, তবে আমি তা করতে প্রস্তুত। কিন্তু যখন একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে হাঁটু গেড়ে বসার নির্দেশ দেওয়া হল, তখন তা মানতে পারিনি। স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিলাম। নির্দেশ পালন না করলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও ছিল। আমার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে মনে হয়েছিল। শুধু আমার একার নয়, এমনটা আরও অনেকেই হয়তো অনুভব করেছিল।’
এই প্রসঙ্গে নিজের পরিবারের কথাও টেনে এনেছেন ডি’কক। তাঁর কথায়, ‘মিশ্র জাতির পরিবারে আমার জন্ম। আমার সৎবোনরা কৃষ্ণাঙ্গ। আমার সৎ মাও কৃষ্ণাঙ্গ। জন্মের সময় থেকেই আমার কাছে কৃষ্ণাঙ্গদের জীবন অমূল্য। তা শুধু এই ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের জন্য নয়। যারা আমার সঙ্গে বড় হয়েছে বা একসঙ্গে খেলে, তারা জানে আমি কেমন মানুষ। তবু ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমাকে বর্ণবিদ্বেষী বলে চিহ্নিত করায় আমি প্রচণ্ড আহত হয়েছি। আমার পরিবারও ব্যথিত হয়েছে। আমার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীও কষ্ট পেয়েছে। আমি একেবারেই বর্ণবিদ্বেষী নই। একেবার অন্তর থেকেই বলছি।’ বোর্ডের সঙ্গে আলোচনার পরেই সুর নরম হয়েছে ডি’ককের।