বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
গত বছর আগস্টে রোনাল্ড কোম্যানকে কোচ হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন তৎকালীন বার্সা প্রেসিডেন্ট জোসেফ বার্তেমিউ। দায়িত্ব নেওয়ার পর খুব একটা স্বস্তিতে থাকতে পারেননি ডাচ কোচ। তাঁর মেয়াদকালেই লায়োনেল মেসি বার্সেলোনা ছেড়েছেন। তার উপর ক্লাবের আর্থিক সংকট, ফুটবলারদের চোট সমস্যা তাঁর চলার পথে কাঁটা হয়ে ওঠে। সবচেয়ে বড় কথা, দলের ফর্ম ক্রমশ তলানিতে ঠেকেছে। তবু কিছুদিন আগে প্রেসিডেন্ট লাপোর্তে জানিয়েছিলেন, আপাতত কোম্যানের উপর ভরসা রাখবেন তাঁরা। কিন্তু গত রবিবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের কাছে এল ক্লাসিকো’তে হারের পর ডাচ কোচের প্রতি আস্থা একেবারে হারিয়ে ফেলে দল। ম্যাচের পর তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বার্সা সমর্থকরা। শেষ পর্যন্ত বুধবার রায়ো ভায়েকানোর কাছে লা লিগায় হারের পর তাঁর বিদায় ঘণ্টা বেজে যায়, চুক্তির মেয়াদ শেষের অনেক আগে। কাকতালীয় ব্যাপার হল, ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর পদত্যাগ করেছিলেন বার্তেমিউ। একবছর পর ঠিক একইদিনে বিদায় নিতে হল তাঁর পছন্দের কোচকেও।
খেলোয়াড় হিসেবে ক্যাম্প ন্যু’তে যথেষ্ট খ্যাতি ছিল রোনাল্ড কোম্যানের। কিন্তু কোচ হিসেবে কাতালন ক্লাবটিতে নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যর্থ তিনি। তাঁর অধীনে ৬৭ ম্যাচে ৪০টি জয়, ১১ ড্র ও ১৬টি হারের মুখ দেখেছে বার্সেলোনা। বলার মতো ট্রফি বলতে কোপা ডেল রে। লা লিগায় চলতি মরশুমে ১০ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট পেয়ে নবম স্থানে রয়েছেন জেরার্ড পিকেরা। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তিন ম্যাচে সংগ্রহ তিন পয়েন্ট। স্বাভাবিকভাবেই কোচ কোম্যানকে সরানো ছাড়া পিঠ বাঁচানোর উপায় ছিল না ক্লাব কর্তাদের।