শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
১৯৩২ সালের ৫ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন মাধব আপ্তে। ১৯৫২ সালে ২০ বছর বয়সে রনজি ট্রফিতে আবির্ভাব ঘটে তাঁর। ওই বছরই পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় আপ্তের। লেগ স্পিনার হিসাবেই তিনি শুরু করেছিলেন ক্রিকেট কেরিয়ার। কিন্তু ভিনু মানকড়ের সহযোগিতায় পরবর্তীকালে হয়ে ওঠেন ওপেনিং ব্যাটসম্যান। শুধু মানকড়ই নয়, পলি উমরিগড়, বিজয় হাজারে ও রুসি মোদীর সঙ্গেও ক্রিকেট খেলেছেন তিনি। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ভারতের হয়ে সাতটি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন আপ্তে। টেস্টে তাঁর মোট রান ৫৪২। যার মধ্যে একটি সেঞ্চুরি ও তিনটি হাফ-সেঞ্চুরি। তিনি তাঁর শেষ টেস্টটি খেলেছেন ১৯৫৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে কিংস্টনে। ওই সিরিজে ভারতের ৪৬০ রান করেছিলেন আপ্তে। সেই সুবাদে ভারতের প্রথম ওপেনার হিসেবে একটি টেস্ট সিরিজে চারশোর বেশি রানের নজির গড়েছিলেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও দারুণ সফল ছিলেন আপ্তে। ৬৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ৩ হাজার ৩৩৬ রান করেন তিনি। এর মধ্যে ৬টি সেঞ্চুরি ও ১৬টি হাফ-সেঞ্চুরি রয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত সর্বাধিক স্কোর হল অপরাজিত ১৬৫ রান। ১৯৫৮-৫৯ ও ১৯৬১-৬২ সালে মুম্বইকে রনজি চ্যাম্পিয়ন করেছেন আপ্তে। খেলা ছাড়ার পরও ক্রিকেটের সঙ্গে দীর্ঘদিন নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন তিনি। বহু বছর ক্রিকেট ক্লাব অফ ইন্ডিয়া এবং লিজেন্ট ক্লাবের সভাপতি পদে ছিলেন।
মাধব আপ্তের প্রয়ানে শোকজ্ঞাপন করেছেন শচীন তেন্ডুলকর ও বিনোদ কাম্বলি। শচীনের ক্রিকেট কেরিয়ারে উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল গুপ্তের। তাঁর স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে টুইটারে শচীন লেখেন, ‘মাধব গুপ্ত স্যারের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। আমি মাত্র ১৪ বছর বয়সে শিবাজি পার্কে ওনার বিরুদ্ধে খেলেছিলাম। সেই দিনটার কথা মনে পড়ে, যখন গুপ্তে ও দুঙ্গাপুর স্যার আমাকে ক্রিকেট ক্লাব অফ ইন্ডিয়া’র (সিসিআই) হয়ে খেলিয়েছিলেন। উনি সবসময় আমাকে সার্পোট করে গিয়েছেন। আমার ভালো চেয়েছেন। ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি।’