নতুন কর্মপ্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন দাম্পত্যজীবনে সখ্যতা বৃদ্ধি সন্তানের কর্ম সাফল্যে গর্ব। ... বিশদ
কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর সাহা বলেন, নির্দিষ্ট জায়গাতেই পথ কুকুরদের খাওয়াতে হবে। নির্দেশ না মানলে পদক্ষেপ করতে পারে পুরসভা। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের এক পশুপ্রেমী যুবকের সঙ্গে পথ কুকুরকে খাওয়ানো নিয়ে তাঁর প্রতিবেশীর সংঘাত বাধে। তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, পথ কুকুরদের খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে সামাজিক সমস্যা বাড়ছে। ফৌজদারি মামলাও বাড়ছে। তাই এই সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকারকে পদক্ষেপ করতে হবে। রাজ্যের তরফেও আদালতে জানানো হয়েছে, সব পথ কুকুরদের সুরক্ষায় এসওপি তৈরি করেছে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। রাজ্যের সমস্ত পুরসভাকে দ্রুত পাঠানো হচ্ছে সেই এসওপি। নির্দেশ অনুযায়ী পথ কুকুরদের খাওয়ানোর সময় সকাল ৭টার আগে ও সন্ধ্যে ৭টার পরে। তাও আবার দু’ ঘণ্টার জন্য। খাবার তালিকায় থাকছে ভাত, রুটি, মাংস, সেদ্ধ আলু, রান্না করা উপযোগী খাবার, প্যাকেটজাত খাবার। তবে অবশ্যই চকোলেট, দুগ্ধজাত খাবার, মিষ্টিজাতীয় খাবার দেওয়া যাবে না। ‘বায়ো ডিগ্রেডেবল’ প্লেটে খাবার দেওয়া বাধ্যতামূলক। খাওয়ানোর আগে ও পরে নির্দিষ্ট এলাকা পরিষ্কার করতে হবে। এও বলা হয়েছে পশুপ্রেমী বা পরিচর্যাকারীদের কেউ নিষেধ করবেন না বা তাঁদের হয়রানি করবেন না। কেউ প্রতিরোধ করবেন না, সহযোগিতা করতে পারেন। কাটোয়া শহরে বহু পশুপ্রেমী যুবক-যুবতী পথ কুকুরদের খাওয়ান। তা নিয়ে তাঁদের অনেকের সঙ্গেই পাড়া প্রতিবেশীদের অল্পবিস্তর ঝামেলা হয়। অনেকেই আবার চায়ের দোকানেও বিস্কুট খাওয়ান বিপজ্জনক ভাবে। তাতে অনেক মানুষ বিরক্ত হন। দোকানের সামনে নোংরা করা হয় বলে অভিযোগ। কেউ কেউ নালিশ করছেন, কুকুরদের খাওয়ানোর এমন অভ্যাস তৈরি হয়েছে যে, কেউ প্যাকেট নিয়ে, বাইক নিয়ে গেলেই তাঁকে তাড়া করে কামড়াচ্ছে। ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটছে। পুরসভার দাবি, শহরকে কোনও ভাবেই নোংরা করা যাবে না। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ। -নিজস্ব চিত্র