নতুন কর্মপ্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন দাম্পত্যজীবনে সখ্যতা বৃদ্ধি সন্তানের কর্ম সাফল্যে গর্ব। ... বিশদ
আসানসোল রেলওয়ে ডিভিশনাল হাসপাতালের চিফ মেডিক্যাল সুপারিনটেন্ডেন্ট বীনা মারডি বলেন, বিষয়টি নিয়ে যা বলার রেলের জনসংযোগ আধিকারিক বলবেন। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত যে করা হয়নি, এমনকী মৃত্যুর কারণ জানতে কোনও তদন্ত কমিটিও তৈরি হয়নি তা তিনি মেনে নিয়েছেন। থানায় অভিযোগ না করার কথাও স্বীকার করেছেন।
এসিপি বিশ্বজিৎ নস্কর বলেন, রোগী মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে। এখনও পর্যন্ত কোনও পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি।
মহম্মদ আমিরুদ্দিন রেলের অন্যতম ভরসাযোগ্য চালক ছিলেন। বহু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনকে সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছেন। পাঁচ বছর আগে তিনি অবসর নেন বলে পরিবারের দাবি। ছেলেমেয়েদের নিয়ে সুখী সংসার ছিল। শনিবার সকালে তিনি শৌচালয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যান। একাংশ অবশ হয়ে যায়। পরিবারের লোকজন তাঁকে নিয়ে আসেন আসানসোল ডিভিশনাল রেলওয়ে হাসপাতালে। দুপুর তিনটে নাগাদ চিকিৎসকের নির্দেশে তাঁকে বাইরে সিটি স্ক্যান করাতে নিয়ে যাওয়া হয়। ফের ছ’টা নাগাদ তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়। সেই সময়ে নিজেই হেঁটে বেডে ফিরে যান বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। তাঁর বড় ছেলে মহম্মদ দানিশ বলেন, ইডলি খেতে চাওয়ার বাড়ি থেকে ইডলি আনা হয়। সাড়ে ছ’টার সময়ে তা খেয়ে বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরই ৬টা ৫০ নাগাদ তাঁকে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তারপরই ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে কাঁপতে কাঁপতে বাবা মারা যান। বাবাকে কার্যত খুন করা হল।
জানা যায়, রাতে এরপর এলাকার বাসিন্দারা রেল হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। হাসপাতালে ভাঙচুর চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিস ডাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুলিস রোগীর আত্মীয়দের বুঝিয়ে ক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করে। মৃতের আরেক ছেলে মহম্মদ সরফরাজ আনসারি বলেন, নার্স থাকতেও অন্য একজন বাবাকে ইঞ্জেকশন দেয়। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে বলতেই পারেনি কী ইঞ্জেকেশন দিয়েছে। তিনি হাসপাতালের কর্মীই নন। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন আসানসোল পুরসভার ডেপুটি মেয়র ওয়াশিমূল হক। তিনি বলেন, মহাকুম্ভে যে ভাবে পুণ্যার্থীদের মৃত্যু গোপন করতে ময়নাতদন্ত করা হয়নি, এক্ষেত্রে তেমনই হল। রেলের প্রাক্তন কর্মীই রেলের হাসপাতালে আজ সুরক্ষিত নয়। ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ালেও কেন তদন্ত কমিটি গঠন করল না রেল। আসানসোলের রেলওয়ে ডিভিশনাল হাসপাতালে উত্তেজনা।-নিজস্ব চিত্র