নতুন কর্মপ্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন দাম্পত্যজীবনে সখ্যতা বৃদ্ধি সন্তানের কর্ম সাফল্যে গর্ব। ... বিশদ
মন্দির প্রাঙ্গণে পাঁচদিনব্যাপী অনুষ্ঠানে লোকগীতি, ভক্তিমূলক গান, ভাগবতপাঠ, লীলাকীর্তন, অষ্টপ্রহর নামযজ্ঞ প্রভৃতি হবে। উৎসবের শেষদিনে হরিনাম সংকীর্তন সহ পরিক্রমা বের হবে।
সোমবার বিকেলে ভাগবতব্যাখ্যা, সন্ধ্যায় লোকগীতি ও ভক্তিমূলক গান পরিবেশন করবেন সুচরিতা সাহা দাস। ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ভাগবত ব্যাখ্যা পরিবেশনের পাশাপাশি সন্ধ্যায় লীলাকীর্তন পরিবেশন করবেন কীর্তনীয়া সুরণজিৎ ভট্টাচার্য। ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে অধিবাস কীর্তন হবে। ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে অষ্টপ্রহর নামযজ্ঞ পরিবেশন করবেন মেদিনীপুর, শান্তিপুর, চাপড়া ও কালীগঞ্জের কীর্তনশিল্পীরা। ২৮ ফেব্রুয়ারি উৎসবের শেষদিন সকালে কুঞ্জ ভঙ্গ। ওইদিন সংকীর্তন সহ কয়েকশো ভক্ত ও পুণ্যার্থী পরিক্রমায় বের হবেন। দুপুরে শ্রীশ্রী সিদ্ধেশ্বরী মাতার পুজো, ভোগ-আরতির পর ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হবে।
মন্দির কমিটির অন্যতম পরিচালক অসিতকুমার দে বলেন, এই মন্দির গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর স্মৃতিবিজড়িত। প্রায় ৫৫০বছর ধরে এখানে ব্রহ্মশিলায় দেবী বিরাজমান। রয়েছে পঞ্চমুণ্ডির আসন। আগে এখানে সিদ্ধেশ্বরী মাতার কোনও মূর্তি ছিল না। ব্রহ্মশিলা ও ঘট স্থাপনের মাধ্যমেই পুজো হতো।
মন্দির কমিটির সভাপতি পার্থসারথি গুঁই ও কমিটির অন্যতম সদস্য গৌতম নন্দী বলেন, মন্দিরটি হেরিটেজ তালিকাভুক্ত হয়েছে। শোনা যায়, এই গ্রামেই গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর প্রথম স্ত্রী লক্ষ্মীপ্রিয়াদেবী জন্মগ্রহণ করেন। বহুদিন ধরে ব্রহ্মশিলায় পুজো হয়ে এলেও এখন সাধারণ মানুষের আর্থিক সহযোগিতায় দেবীমূর্তি তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি মন্দির প্রাঙ্গণে সিদ্ধেশ্বর শিব, বৃন্দাবনের অনুকরণে তুলসীদেবী ও গৌরাঙ্গের মূর্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। দেবীকে প্রতিদিন পাঁচবার ভোগ নিবেদন করা হয়।
পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে ভাগীরথীর তীরে এক তান্ত্রিকের প্রতিষ্ঠিত দেবী সিদ্ধেশ্বরী মাতা। সেসময় ভাগীরথী নদী নবদ্বীপের পশ্চিমদিকে বইত। বাবলারির এই অঞ্চলে নদীর ধারে নির্জন স্থানে দক্ষিণাকালীর মূর্তি স্থাপন করে ওই তান্ত্রিক সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেন। সেসময় থেকেই এখানে দেবী সিদ্ধেশ্বরীর পুজো হয়ে আসছে।