নতুন কর্মপ্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন দাম্পত্যজীবনে সখ্যতা বৃদ্ধি সন্তানের কর্ম সাফল্যে গর্ব। ... বিশদ
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে কেমোথেরাপির আধুনিক মেশিন কেনার জন্য তিন কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেই টাকা জার্মানির ওই সংস্থাকে দেওয়া হয়েছিল। দিচ্ছি-দেব করে ওই সংস্থা গত কয়েক মাস সময় কাটিয়েছে। তবে ই-মেলে তারা যোগাযোগ রাখছিল। এখন তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ওই সংস্থা কার্যত আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে। পুরো বিষয়টি স্বাস্থ্য ভবনে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু, মেশিন ডেলিভারি দেওয়ার আগে কেন ওই সংস্থাকে অগ্রিম হিসেবে টাকা দেওয়া হল? অধ্যক্ষ বলেন, বেশিরভাগ প্রকল্পের ক্ষেত্রেই কাজ হওয়ার পর টাকা মেটানো হয়। কিন্তু, লিফ্ট বসানো বা রেডিওথেরাপি মেশিন কেনার মতো কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ভবন আগাম টাকা দেয়। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজের নামেই অর্থ বরাদ্দ হয়। পরে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংস্থার চুক্তি হয়। যদিও আমি খুব বেশিদিন অধ্যক্ষ হিসেবে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে কাজ করছি না। ফলে এব্যাপারে ঠিক কী হয়েছিল তা সব নথিপত্র না পরীক্ষা করে বলা সম্ভব নয়। আপাতত কোনওভাবে জার্মানির সংস্থাকে দিয়ে মেশিন ডেলিভারি করানো গেলেই সঙ্কট মিটবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের অঙ্কলজি বা ক্যান্সার বিভাগের উপর বহু রোগী নির্ভর করেন। ওই বিভাগে বর্তমানে কেমোথেরাপি চালু রয়েছে। সেখানে দৈনিক গড়ে ১৫-২০ জন রোগী তা নিয়ে থাকেন। রেডিওথেরাপি চালু হলেও ওই সংখ্যায় রোগী হবে। এমনকী ক্যান্সার আক্রান্তদের অনেকেরই কেমোর পাশাপাশি রেডিওথেরাপি প্রয়োজন পড়ে। তাঁদেরই বেশি সমস্যা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বাঁকুড়া মেডিক্যালে কেমো নেওয়ার পর তাঁদের বর্ধমান বা কলকাতার সরকারি হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে। বাঁকুড়া শহরের বাসিন্দা সৌমাল্য আচার্য, গঙ্গাজলঘাটির কেয়া মণ্ডল বলেন, আমাদের বাড়িতে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী রয়েছে। বাঁকুড়া মেডিক্যালে রেডিওথেরাপির ব্যবস্থা হলে ভালো হয়। সেক্ষেত্রে আর ভিন জেলায় যেতে হবে না। প্রতীকী ছবি