নতুন কর্মপ্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন দাম্পত্যজীবনে সখ্যতা বৃদ্ধি সন্তানের কর্ম সাফল্যে গর্ব। ... বিশদ
কাঠ পাচারের ঘটনায় এলাকায় আইন-শৃঙ্খলাজনিত সমস্যাও সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে বনদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে জেলার পুলিস ও প্রশাসনিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কঠোর হাতে বিষয়টি দমন করা না গেলে সমস্যা আরও বাড়বে বলে আধিকারিকরা মনে করছেন।
বাঁকুড়া দক্ষিণের ডিএফও প্রদীপ বাউরি বলেন, দিন পাঁচেক আগে সিমলাপালে চোরাই কাঠ বোঝাই একটি ট্রাক আটক করা হয়। পাঞ্চেত বনবিভাগ এলাকা থেকে দামি শাল কাঠ বোঝাই করে পাচার করা হচ্ছিল। তার দু’দিনের মাথায় খাতড়ায় আকাশমণি কাঠ পাচারের চেষ্টা হয়। দু’টি ক্ষেত্রেই আমরা কয়েক লক্ষ টাকার কাঠ সহ যানবাহনগুলিকে আটক করেছি। মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আমরা বিভাগীয় তদন্তও শুরু করেছি। সূর্যোদয়ের পূর্বে ও সূর্যাস্তের পরে গাছ কাটা বা জঙ্গল থেকে কাঠ পরিবহণ করা যায় না। দু’টি ক্ষেত্রেই ওই নিয়ম লঙ্ঘিত হয়েছে। বিশেষ করে খাতড়ার ঘটনায় আমাদের এলাকায় থাকা জঙ্গলের গাছ কেটে ফেলে রাখা হয়েছিল। সেই কাঠ বোঝাই করে একটি পিকআপ ভ্যানে চাপিয়ে পাচার করা হচ্ছিল। ফলে কীভাবে তা দপ্তরের কর্মী-আধিকারিকদের নজর এড়িয়ে গিয়েছিল, তা জানা প্রয়োজন। বিভাগীয় তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার এব্যাপারে বিস্তারিত বলা যাবে।
খাতড়ার মহকুমা শাসক শুভম মৌর্য বলেন, কাঠপাচারের ঘটনা দু’টি বনদপ্তর খতিয়ে দেখছে। এব্যাপারে যাতে কোনও আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা না হয়, তা আমরা দেখছি।
খাতড়া মহকুমার এক পুলিস আধিকারিক বলেন, আমাদের এলাকার প্রতিটি থানাতেই কমবেশি জঙ্গল রয়েছে। বর্তমানে কাঠ পাচারের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে চললে সমস্যা বাড়বে। কঠোর হাতে পাচারকারীদের দমন করতে হবে।
বনদপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া দক্ষিণ বনবিভাগের সঙ্গে লাগোয়া পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন রেঞ্জের সীমানা রয়েছে। ফলে ওই এলাকা বরাবর কাঠ মাফিয়াদের নজরে রয়েছে। ঝিলিমিলি, সুতান, বারিকুল এলাকা একসময় কাঠ পাচারের করিডর ছিল। বাম আমলে মাওবাদী আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে মাফিয়ারা জঙ্গলের শাল, সেগুন সহ অন্যান্য দামি গাছ দেদার কেটে পাচার করে। পুলিস ও বনদপ্তরের লোকজন তখন জঙ্গলের বহু দুর্গম এলাকায় ঢুকতে পারত না। সেই সুযোগকে মাফিয়ারা কাজে লাগাত। তৃণমূল জমানায় জঙ্গলমহলে শান্তি ফেরার পর পাচারকারীরা দমে যায়। তবে ফের তারা মাথা তুলতে শুরু করছে। বনদপ্তর, পুলিস, প্রশাসন ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের একাংশ তাদের মদত দিচ্ছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ তুলেছেন।